আজ ৯ আগস্ট, বিশ্ব আদিবাসী দিবস,International Day of World Indigenous People। আদিবাসীদের প্রচুর অবদান আছে বিশ্বে। বিশ্বে নানান ইস্যুতে তাদের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। সাধুবাদ জানাতেই প্রত্যেক বছর ৯ অগাস্ট দিনটি পালিত হয় বিশ্ব আদিবাসী দিবস হিসেবে । তাছাড়াও সচেতনতা, আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষিত করার ব্যাপার তো আছেই।
দিনটি উদযাপনের ইতিহাস কী?
১৯৯৪ সালে ২৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৯ অগাস্ট দিনটিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আদিবাসীদের দিন হিসেবে পালন করা হবে। ১৯৮২ সালে জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের আদিবাসীদের ওপর ওয়ার্কিং গ্রুপ দিনটিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বের আদিবাসীদের জন্য আন্তর্জাতিক বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৯৯৩ সালকে। সেই বছরই বিশ্বের আদিবাসীদের জন্য আন্তর্জাতিক যুগ ঘোষণা করা হয়। যেটা ১৯৯৪ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়। আদিবাসীদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক যুগ ঘোষণা করা হয় ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালকে।
মহাশ্বেতা দেবীর কথাসাহিত্যের একটি বড় অংশ জুড়ে আদিবাসী মানুষ। আদিবাসীদের নিয়ে বাংলা ভাষায় আগেও লেখা হয়েছে, কিন্তু এক জন লেখকের কলমে এতখানি লেখা আগে মেলেনি। মহাশ্বেতা যে আদীবাসীর রক্তে মিশে আছেন।
লেখক লিখেছেন “আদিবাসী জগৎ প্রাচীন বৃক্ষের মতো। ঘাতকের কুঠারের জন্যে অপেক্ষা করে থাকে।”
পৃথিবী যখন তথাকথিত সভ্য হয়ে এসেছে, ঠিক সেই সময় ভারতীয় উপমহাদেশের আদি জনগোষ্ঠী আদিবাসীদের অসভ্য বলে, নীচ বলে ঘৃণা করা হয়েছে। আদিবাসীরা অনেক সময়ই চুপ করে এসব সহ্য করেছে। যখন অন্যায়-নির্যাতন সীমা ছাড়িয়েছে, তখন আদিবাসীরা সংঘটিত করেছে বিদ্রোহ। এটি সেই সময় ইংরেজ শাসকদের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল। তত্কালীন ভারতের ছোটনাগপুরের সিংভূম, রাঁচি, পালামৌ জেলাগুলোয় মুন্ডাসহ অন্য আদিবাসীদের ঘনবসতি ছিল।
ইংরেজদের হাতের মুঠ থেকে দেশমাকে স্বাধীন করার জন্যে বন্দুকের সামনে তীর-ধনুক নিয়ে লড়াই করতে নেমে পড়েছিলেন বীর যোদ্ধা বীরসা মুন্ডা। ভারত উপমহাদেশে আদিবাসীদের মুক্তির জন্য যুগে যুগে যত মহান নেতা অবতীর্ণ হয়েছেন তাদের মধ্যে বিরসা মুন্ডা একজন। লক্ষ লক্ষ মুন্ডা তাঁকে অনুসরণ করে মুক্তির আশা বুকে ধারণ করেছিলেন।