ঢাকা: বাংলাদেশে টানা তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।মাঝেমধ্যে গায়ে বাতাস লাগলেও তা যেন আগুনের হল্কা। তাপমাত্রা কমবেশি হলেও বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে বেশি।
দিনে যাদের কাজ ঘরের বাইরে, তাদের যেন একবারেই জবুথবু অবস্থা। তাপপ্রবাহের কারণে নিম্নআয়ের মানুষের আয়-উপার্জনেও পড়েছে ভাটা।বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু ও খেটেখাওয়া মানুষের কষ্ট সীমাহীন।
অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হিট স্ট্রোকে মৃত্যুও থেমে নেই-এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শ্রমজীবীরা। বৃহস্পতিবারই হিট স্ট্রোকে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনই শ্রমিক। বাংলাদেশে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশে ১৬ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তা প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রয়েছে মোংলায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারী করেছে আবহাওয়া অফিস।
এ নিয়ে চতুর্থবার হিট অ্যালার্ট জারী করেছে সংস্থাটি।তবে বাংলাদেশের তাপমাত্রার এমন অবস্থা সহসাই পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এই রেকর্ড এখনো ভাঙেনি।