কলকাতাঃ শিশুকন্যার সমানেই মাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠলো দুই বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্ৰের খবর দালালের মধ্যমে বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল গৃহবধূ ও তাঁর পরিবার। সে সময় তাদের পেছন থেকে তাড়া করে বিএসএফ জওয়ানরা।
জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে West Bengal-এর উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার জিতপুর Border আউটপোস্টের কাছাকাছি এলাকায় সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করছিলেন বছর তেইশের ওই গৃহবধূ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বামী ও দুই সন্তান। তাঁরা আদতে উত্তর ২৪ পরগনারই বসিরহাটের ত্রিমোহিনী এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাঁরা রাতের অন্ধকারে সীমান্তের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ওই সীমান্ত এলাকায় পাহারার দায়িত্ব বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের। ওই রাতে BSF কর্মীদের টর্চের আলোয় ওই তরুণীদের গতিবিধি টের পেয়ে যায় BSF। এর পর সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তাড়া খেয়ে ওই তরুণী স্বামী-সন্তান-সহ পালানোর চেষ্টা করেন। সেই সময় স্বামী এবং এক সন্তানের কাছ থেকে তিনি অন্য সন্তান-সহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
তরুণির অভিযোগ সেই সময় তরুণি ও তাঁর শিশু সন্তান পাশেই একটি কাঁকরোল ক্ষেতের মাচার নীচে লুকোনোর চেষ্টা করে। তখনই BSF-এর কনস্টেবল তাঁদের দেখতে পান টর্চের আলোয়। এর পর তিনি ওই তরুণী এবং তাঁর শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিএসএফ-এর এসআই পদমর্যাদার এক পোস্ট কমান্ডার। অভিযোগ তাঁর নির্দেশেই এরপর BSF-এর কনস্টেবল তরুণিকে ধর্ষণ করেন। তারা প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিলেন তাদের কাজ শেষ হয়ে গেলে তরুণিকে ছেড়ে দেবেন। প্ৰতিশ্ৰুতি মতো ছেড়েও দিয়েছিলেন।
এরপর শুক্ৰবার বিকেলে বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। গ্ৰেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। ঘটনায় আতঙ্কিত গ্ৰামবাসীরা।
ধৃতেরা জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের শনিবার বনগাঁ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক অভিযুক্তদের সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। তাঁর দেহে মারধরের চিহ্নও মিলেছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে পেয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে তদন্তকারীদের সূত্রে। পাশাপাশি, শনিবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগকারিণীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।পুলিশে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
দেশের নিরাপত্তায় যারা তারাই যদি ভক্ষক হন তবে সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ কী হবে? এই প্ৰশ্নই এখন সচেতন মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে।