‘চাই শ্রমিকের মর্যাদা’। শ্রম দিবসের একমাত্র চাওয়া পশ্চিমবঙ্গের সোনাগাছির যৌনকর্মীদের !
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের পূর্ব দিন সোনাগাছির হাজার হাজার কর্মী সমদল বের করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেছেন। প্রতিবাদকারী কর্মীদের সমদল সোনাগাছির শীতলা মন্দির এলাকা থেকে বিডন স্ট্রীট হয়ে হেদুয়া পৌঁছায় । কিন্তু এই প্রতিবাদ সরকারের কান পর্যন্ত পৌঁছেছে কি ?
‘সরকারি শ্রমদপ্তরে যৌনকর্মী হিসেবে আমাদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এটা আমাদের মূল দাবি । জানিনা কবে মিলবে আমাদের শ্রমের স্বীকৃতি’। একদিকে প্রতিবাদ, অপরদিকে না পাওয়ার বেদনা কুরে খাচ্ছে তাদের । ১ মে যৌনকর্মীরা নিজেদের কাজও বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু কতদিন এভাবে চলবে ?
পশ্চিমবঙ্গের ভিন্ন ভিন্ন যৌনপল্লীর মানুষ সরকারের নানারকম সুবিধা পাচ্ছেন ঠিকই (আধার কার্ড, স্বাস্থ্য বিমা) শুধু পাচ্ছেন না শ্রমিকের মর্যাদা। তাঁরা দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে নিজের অধিকারটুকু আদায়ের জন্যে লড়াই করে যাচ্ছেন, কিন্তু কোথায় কি ? সমাজে এই কর্মীদের এখনো তুচ্ছ দৃষ্টিতে দেখা হয় !
সোনাগাছির যৌনকর্মীরা দাবি জানিয়েছেন, ‘এটা আমাদের পেশা। তবু কেন পুলিশ হয়রান করবে ? আর কবে এসব বন্ধ হবে ? পুলিশের অত্যাচার তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে আছে ইমমরাল ট্রাফিকিং আইন। এই আইনে যৌনকর্মীরা হয়রান হচ্ছেন !
যৌনকর্মীদের জীবন কেমন যাচ্ছে ? তারা কি আনন্দের ঢেউয়ে ভাসছেন ? না তা নয়। এক যৌনকর্মী তাঁদের করুণ জীবনের কথা জানিয়ে বলেছেন, এখনো সমাজের ভিন্ন ভিন্ন অত্যাচার সহ্য করে তাঁরা বেঁচে আছেন ! চাঁদার জুলুম তো আছেই । অনেক মানুষ কেবল পাশে থাকার আশ্বাস দেন, কিন্তু বাস্তবে নিজের লড়াই নিজেকেই করতে হচ্ছে। প্রতি রাতে এখনো গোপণে তাঁদের বালিশ ভেজে। সূর্য ওঠার সাথে সাথে তা শুকিয়ে ফেলতে হয়। এত অত্যাচার সহ্য করেও আজকে পর্যন্ত তারা পেলেন না শ্রমের মর্যাদা ! সূত্রে জানা গেছে, সোনাগাছিতে বর্তমানে যৌনকর্মী রয়েছেন ১১ হাজার ।