সিএএ নিয়ে কিছুতেই মানবেন না মমতা ব্যানার্জী। লক্ষ্ণৌর সভা থেকে অমিত শাহের দৃঢ় বার্তার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হুংকার মমতার।
কাগজ না দেখানোর দলে তো ছিলেনই, এবার আবারও জানালেন।
পশ্চিমবঙ্গে কোনভাবেই এনআরসি, সিএএ, এনপিআর হতে দেবেন না। অমিত শাহকে আক্রমণ করে বলেন, তাতে যদি কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে পাকিস্তানি বলে, তবে তিনি তাই!
তৃণমূল সুপ্রিমোর আহ্বান ‘‘কেউ কোনও কাগজ দেখতে এলে কিছু দেখাবেন না।’’
চ্যালেঞ্জের ওপর চ্যালেঞ্জ। অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, যার যতো প্রতিবাদ করার করুন, সিএএ ফেরানো হবে না। তুলনা টানেন ইমরান খানের সঙ্গে। বলেন মমতা ব্যানার্জি, রাহুল গান্ধীর ভাষা এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
ভাঙবেন তবু মচকাবেন না মমতা ব্যানার্জী।
পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দার্জিলিং থেকে মমতার হুংকার, ‘‘মনে রাখবেন, যত ক্ষণ না এনআরসি, সিএএ, এনপিআর তুলে নেবে, তত দিন এই আন্দোলন চলবে। এটা আমাদের অধিকারের লড়াই, বাঁচা-মরার যুদ্ধ। এই লড়াই আমাদের নাগরিকত্ব, ইজ্জত, জমি, মাটি বাঁচানোর লড়াই। আমরা এই লড়াই করতে তৈরি।’’
তবে তৃণমূল সুপ্রিমোর হুংকার এখন হাম্বাও শোনায় না বলেই দাবি এক বিশিষ্ট ব্যক্তির।
এদিকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার এবং ফালাকাটায় মিছিল-সভায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পাল্টা আক্রমণ করেন মমতা ব্যানার্জীকেঃ ‘‘নরেন্দ্র মোদী শরণার্থী ভাইদের জন্য নাগরিকত্ব আইন পাশ করেছেন। আমরা নাগরিকত্ব দিচ্ছি, আর মমতা আটকাচ্ছেন। প্রতিটি উদ্বাস্তুকে আমরা নাগরিকত্ব দেব। যদি কেউ বাধা দেয়, নামটা লিখে রাখবেন। দেখে নেব, কে বাধা দেয়।’’