পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি কোন পথে গতি করছে তা সরাসরি প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে এক একটি নারকীয় ঘটনায় ! তৃণমূল-বিজেপি দু-দলের সংঘর্ষ কিছুতেই থামতে চাইছে না ! আরেক রক্তক্ষয়ী ঘটনায় গতকাল প্রাণ হারালেন ৪ জন ।
এলাকার মানুষ সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে এই ঘটনায় । কারণ, রাজনৈতিক সংঘর্ষের বলি তাঁরা নিজেরাও হচ্ছে । নিরীহ মানুষগুলোও তো বাদ যাচ্ছে না অত্যাচার থেকে ।
দলীয় পতাকা সরানোকে কেন্দ্র করেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণায় রণযুদ্ধে মেতে ওঠে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি ন্যাজার্টে থানা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।
সূত্রে জানা গেছে, সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের হাটগাছা পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়ায় দুটি দলের দুটি সভায় চলছিল। ওই সভার শেষের দিকেই দু-দল সংঘর্ষে জড়ান।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে যে, প্রথমে ওই এলাকায় তৃণমূলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপির পতাকা খুলতে শুরু করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে দাবি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, বৈঠক শেষে মিছিল বের করেছিল করেছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে হামলা চালিয়ে ২৬ বছর বয়সী তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
খুনের ঘটনায় রাজ্যের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, সংঘর্ষে তাঁদের দলের ৫ কর্মী মারা গেছে। এর মধ্যে তিনজনের লাশ পাওয়া গেলেও বাকি দুজনের লাশ পুলিশ সরিয়ে ফেলেছে। সুজিত মণ্ডল, তপন মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের লাশ পাওয়া গেছে বলে তিনি দাবি করেন ।