২০১৪ সালে পশ্চিমঙ্গের বলাগড়ে এক নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুন করে ধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসির সাজা পেল দুই আসামি।
সোমবার চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (দ্বিতীয় কোর্ট) মানসরঞ্জন সান্যাল অভিযুক্ত গৌরব মণ্ডল ও কৌশিক মালিককে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত দুই নরপিশাচের নাম গৌরব মণ্ডল ওরফে শানু ও কৌশিক মালিক।
উল্লেখযোগ্য যে, বলাগড়ে বালিকাকে অপহরণ করে দুষ্কৃতিরা। সেসময় চিৎকার করছিল নাবালিকা প্রাণভয়ে। এরপরই নৃশংসভাবে ১১ বছরের মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। এরপর খুন করেও লাশকেও ছাড় দেয়নি তারা। দেহ থেকে প্রাণবায়ু বের হওয়ার পরও নিজেদের বিকৃত যৌন বাসনা মেটায় দোষী সাব্যস্তরা।
শেষ পর্যন্ত কোদাল দিয়ে দেহ টুকরো করে বস্তায় ভরে পুঁতে দেওয়া হয় গঙ্গার চরে। মামলাটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়েছেন বিচারক।
মুক্তিপণের জন্য ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ১১ বছরের স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছিল তিনজন।
এই গণধর্ষণ এবং হত্যা মামলায় আরও এক অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় সেটি এখন উত্তরপাড়া জুভেনাইল আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।
গতকাল রায় শোনার পর মৃতার বাবাকে মেয়ের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। এ দৃশ্য চোখে সয় না। কিন্তু যৌন বিকারগ্রস্ত দুই সাজাপ্রাপ্তের কোন বিকার এদিন দেখা যায়নি।