করোনার সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সারা ভারতে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এই লকডাউনের তোয়াক্কা না করে সাধারণ জনতা অসাবধান অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে করোনার সংক্রমণে সাহায্য করছে। ফলত রাজ্যে একের পর এক করোনায় আক্রান্তকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
কলকাতায় আরো ২জনের শরীরে পাওয়া গেছে করোনার জীবাণু। একজন ৭৬ বছরের ও অপরজনের বয়স ৫৬ বছর। তাঁরা ২জনেই নয়াবাদের করোনা আক্রান্তকারীর সাথে মেদিনীপুরের এগরার বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে।
নয়াবাদের করোনা আক্রান্তকারীর স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ, নাতনিকে ইতিমধ্যেই টালিগঞ্জের এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এদের ৪জনের সাথে আরো ৩৩ জনের চিকিৎসার পরীক্ষার নমুনা আসে। তাঁদের মধ্যে ২জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর পজিটিভ জীবাণু পাওয়া গেছে।
এখন এই করোনার সংক্রমণকে নিয়ে চিকিৎসকেরা চিন্তিত রয়েছেন। কেননা এই সংক্রমণ কতদূর ঘটতে পারে। সেই বিয়েবাড়িতে অন্য রাজ্যেরও মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সবাইকে খুঁজে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খবরের সূত্রে জানা গেছে করোনায় মৃত দমদমের প্রৌঢ়ের চিকিৎসা করা ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।