‘আমি অত্যন্ত গর্বিত অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের সাফল্যে। একজন বাঙালি, যিনি চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও ১৯৯৮ সালে নোবেল সম্মান পেয়েছিলেন। দু-নোবেলজয়ীই চেয়েছেন দারিদ্র্যতা দূর করার জন্যে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ফেরানোর জন্যে।’ বাংলাদেশের চিন্তাশীল এবং মানবদরদী লেখক তসলিমা নাসরিন পাশাপাশি লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুই বাংলার (পশ্চিমবঙ্গ- বাংলাদেশ) অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র।’
I'm proud of Abhijit Banerjee, a Bengali, who got Nobel Prize in economic sciences this year. Amartya Sen was a Bengali, who also won the same prize in 1998. Both want to improve the economic condition of the poor. Unfortunately, a large number of people in both Bengals are poor.
— taslima nasreen (@taslimanasreen) October 15, 2019
বিশ্ব জুড়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে অভিজিৎ ব্যানার্জীর কাজ বিশ্বের পাশাপাশি এপার-ওপার বাংলায় আলো দেখাতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস করেন তসলিমা নাসরিন।
২০১৩ সালে অভিজিৎ ব্যানার্জী এবং স্ত্রী এস্থার ডাফলো যৌথভাবে ‘আব্দুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশান ল্যাব’ গড়ে তুলেছিলেন বিশ্বের দারিদ্র নিয়ে গবেষণার জন্যে। তাঁদের পরীক্ষামূলক গবেষণাকেই সম্মান জানিয়েছে নোবেল কমিটি।
অভিজিৎ এবং এস্থার যৌথভাবে একটি বই লিখেছেন, নাম ‘পুওর ইকোনমিক্স’।
নোবেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, “ ২০১৯ সালের নোবেল বিজেতাদের গবেষণা বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য আমাদের শক্তিবৃদ্ধি করেছে। মাত্র দু-দশকে তাঁদের নতুন গবেষণা ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি উন্নয়নের অর্থনীতিতে রূপান্তর এনেছে, যা বর্তমানে গবেষণার এক উদীয়মান ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।”