ধর্ষকের কোন জাত নেই, ধর্ম নেই। তারা কেবলই এক একজন ধর্ষক। নাবালক বলে তাকে কোনমতে ছেড়ে দেয়া হবে না। যে নাবালকের সাবালকের চাইতেও অধিক যৌন নির্যাতনে পারঙ্গম, সে তো নাবালকের পরিচিতিতে পড়ে না!
পঞ্চসায়র ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত এক নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সাবালকের মতোই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে লালবাজার পুলিশ যাবে আদালতে। এ বিষয়ে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে আবেদনও করা হয়ে গেছে।
পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, এই প্রথমবার কোন নাবালকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে চাইছে পুলিশ।
তাঁরা আরো জানাচ্ছে, ৩৫ বছরের যুবতীর সঙ্গে যে কাজ ধৃত নাবালকটি করেছে, তা করতে এক সাবালকেরও হাত কেঁপে উঠবে।
দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে এই নাবালকই প্রথম মানসিকভাবে খানিকটা বিপর্যস্ত যুবতীকে ধর্ষণ করেছিল। একথা জেরায় সে স্বীকার করে নিয়েছে। ইতিমধ্যে নির্যাতিতা যুবতীর ফরেনসিক মেডিসিন রিপোর্ট হাতে এসে পড়েছে। এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সে রাতে যুবতীকে নৃশংস যৌন অত্যাচার চালানো হয়েছিল।
তার করা এই জঘন্য কাণ্ডের পর ট্যাক্সিচালক উত্তম রাম যুবতীকে ফের ধর্ষণ করে! লোমহর্ষক ঘটনা মানুষকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে।
বুধবার নরেন্দ্রপুর কাঠিপোঁতা এলাকা থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ে ১৭ বছরের ধর্ষক ছেলেটি।
১৮ বছরের কমবয়সী হওয়ায় নয়া দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের মতোই সেও নিস্তার পেয়ে যেতে পারত। কিন্তু সেই ভয়ংকর কালো রাত থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশ এবার ছাড়বে না তাকে। নাবালক হলেও যৌন উত্তেজনা কিংবা নির্যাতনে তো সে পিছ পড়ে নেই!
গ্রেফতারকৃত অপরাধীকে যেন সাবালকের চোখে দেখে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় সে বিষয়ে লালবাজার পুলিশ অনুমতি চেয়েছে। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে লালবাজার।
তবে ধর্ষক উত্তম রায়ের সঙ্গে নাবালক ধর্ষকের কি সম্বন্ধ, সে বিষয়ে জানার জন্যে খতিয়ে দেখা হবে নাবালকের বয়ান।
প্রসঙ্গত, ১১ নভেম্বর সোমবার রাতে পঞ্চসায়র থানা এলাকায় নির্মম কাণ্ডটি সংঘটিত হয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় ৩৫ বছরের নির্যাতিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয় সোনারপুর স্টেশন থেকে।
১৬ নভেম্বর, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গঙ্গাজোয়ারা থেকে পেশায় ট্যাক্সিচালক অপরাধী পুরুষ উত্তমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তাঁর গাড়িটি।