দল বদল করছেন কিন্তু দিদির প্রতি টান তো সেই টানই রয়ে গেছে শোভনবাবুর। গতবছর তৃণমূলে থেকেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়৷
এবার দল বদল ঘটল, কিন্তু ভাই ফোঁটাটি কিন্তু নিতে গেলেন যেচেই। মঙ্গলবার ২০১৯ সালের অন্যতম বড় রাজনৈতিক বিস্ময় দেখল গোটা রাজ্য৷
এদিন একটা কুড়ি মিনিট নাগাদ গোলপার্ক থেকে রওনা দেন শোভন সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন বৈশাখী। ১ টা ৪৫ নাগাদ পৌঁছে গিয়েছেন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মমতার বাড়িতে।
দিদির বাড়িতে শোভন-বৈশাখিকে দেখে হতবাক মানুষ!
উল্লেখ্য, বিজয়ার প্রণাম জানানোর জন্যে বিগত সপ্তাহের শনিবার পার্থ চ্যাটার্জীর বাড়িতে গিয়েছিলেন বৈশাখি ব্যানার্জী। সূত্রে জানা গেছে, সেখানেই মমতার বাড়ির কালিপুজোয় যোগ দেবার জন্যে শোভনবাবুকেও নিয়ে যেতে বৈশাখীকে বলে দিয়েছিলেন পার্থ।
সে সময় তো শোভনবাবু বেঁকে বসেছিলেন, কিন্তু এরপর নিজেই ফোন করেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে। সে সময়ই মমতা তাঁর প্রিয় ভাইটিকে ভাতৃদ্বিতীয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এক আমন্ত্রণেই শোভন ছুটে গেলেন দিদির বাড়ি!
১৪ অগাস্ট তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে বৈশাখী-শোভন যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী দল বিজেপিতে। কিন্তু দলের সঙ্গে মোটেই মানিয়ে নিতে পারছিলেন না বলে অহরহ স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়ছিলেন তৃণমূলের কথা ভেবে!
কালিঘাটে ফের মমতার বাড়িতে শোভনকে দেখে কানাঘুষো শুরু হয়েছে একাংশ মহলে। “দিদিকে ছেড়ে কি ভালো থাকতে পারছেন না শোভন চ্যাটার্জী?”
তবে ফের তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন কিনা, সে নিয়ে কোন খবর নেই।