বাঙালি বাড়িতে যেদিন নিরামিষ খাবার রান্না হয়, সেদিন নিষ্ঠাভরে নিরামিষই হয়। মুগডাল থেকে শুরু করে বেগুন ভাজা, পনির ইত্যাদি। সেদিন থাকবে না কোন পেঁয়াজ, রসুনের কারবার। তবে আমিষের দিন অবশ্যই থাকবে পেঁয়াজ।
সুস্বাদু আমিষ রান্নার একটি অপরিহার্য উপাদান হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে পেঁয়াজের দিকে যেরকম নজর দিই আমরা, পেঁয়াজের খোসার দিকে আর দেই না।পেঁয়াজ কাটার পরে খোসার জায়গা হয় আবর্জনায়।
তবে জানেন কী এই পেঁয়াজের খোসাও অনেক উপকারে লাগে আমাদের, শুনতে আশ্চর্য লাগলেও পেঁয়াজের খোসাতেও আছে বহু গুণ।
যেমন ত্বকের যত্নে পেঁয়াজ কাজে লাগে।
পেঁয়াজের খোসায় আছে ভিটামিন এ-সহ আরও বেশ কিছু উপাদান, যেটা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। এ ছাড়াও আরো একটি বিষয় যেমন, নিয়মিত পেঁয়াজের খোসা যুক্ত চা খেতে পারলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়।
ঋতুপরিবর্তনের সময় বিশেষ করে আমাদের ঠাণ্ডা লেগে যায়। বিশেষত শীতকালে সর্দি, কাশি, জ্বরে ভুগে থাকেন। এই পেঁয়াজের খোসাতেই আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর আমরা জানি যে ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভাইরাসজনিত সমস্যা এড়াতেও পেঁয়াজের খোসা কার্যকরী।
চুলের যত্নেও পেঁয়াজের খোসা কাজে লাগে।
পেঁয়াজের খোসা জলে সেদ্ধ করে সেই জল দিয়ে চুল ধুলে চুল বাড়ে।যাদের খুশকির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এটি ব্যবহার করতে পারেন।পাশাপাশি চুল ঘন এবং কালো হয়।
আরো উপকারিতা রয়েছে পেঁয়াজের খোসায়। আমরা হয়তো অনেকেই এর কিছুই জানতাম না। তবে সব জিনিসই জেনে রাখা ভালো। কাজে লাগতেই পারে।
পায়ে ব্যথার সমস্যা থাকলে অথবা পায়ের পেশীতে টান লাগলে সেটা সারানোর জন্যে পেঁয়াজের খোসা সেদ্ধ করে সেই জল যদি খেতে পারেন খেয়ে নিন।সাথে মধু দিতে পারেন একটু মিষ্টি লাগবে।তাহলে বুঝতেই পারছেন পেঁয়াজের খোসা কেমন কাজে লাগে আমাদের।