বিরোধি দল তৃণমূল, বামের সমালোচনায় জর্জরিত কেন্দ্র-রাজ্য বিজেপি। কিন্তু আদৌ মোদি জর্জরিত হয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়!
রবিবার বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন তথা জাতীয় যুব দিবসে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সদর দপ্তর বেলুড় মঠের মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে জনসাধারণকে, মানুষ এগিয়ে আসতে হবে বোঝানোর জন্যে। শরণার্থীদের মহান ভারত কোনদিনও ফিরিয়ে দিতে পারবে না। এবং তিনি যোগ করেন,সিএএ না আনলে দেশবাসী জানত না, বিশ্ববাসী জানত না যে পাকিস্তানে মা-বোনদের অত্যাচার, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অত্যাচার ৭০ বছরে কী পরিমাণে হয়েছে! ভারত এবার মোক্ষম জবাব দেবে পাকিস্তানকে।
এদিন তৃণমূল নেত্রী মমতাসহ পাকিস্তানের বুকে শর গেঁথে দিয়েছেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এহেন বক্তব্যের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছে বিরোধিরা। তাঁদের বক্তব্য, মোদি জনমত সংহত করার জন্যেই সুকৌশলে এভাবে মোদি বেলুড় মঠ ও মিশনের মতো তথাকথিত ‘অরাজনৈতিক’ মঞ্চকে ব্যবহার করেছেন।
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম তীব্র নিন্দা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক স্বার্থে বিবেকানন্দকে ব্যবহার করছেন। এটা লজ্জাজনক। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও বহুবার বেলুড় মঠে এলেও কোনওদিন এরকম রাজনীতি করতে দেখিনি। এভাবে উনি পুণ্যভূমিকে কলুষিত করেছেন।
এখানেই ফাঁক আসলে। “ঈদের মঞ্চে যখন মোদি বিরোধি স্লোগানে মমতার গলা চৌচির হয়, তখন দেদার হাততালি! আর দেশের প্রধানমন্ত্রী বেলায় ওত পেতে বসা!” মন্তব্য সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন এক জনতার।
মমতা রাজ্যে এসে স্বভাবসিদ্ধ মোদিজি নিজেকে ফের দেখিয়ে দিয়েছেন। একাগ্রতার সঙ্গে সমালোচনা, বিরোধিতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কলকাতা বন্দরের ১৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপস্থিতিতেই ঐতিহাসিক এই বন্দরটির নতুন নামকরণের ঘোষণা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ রোববার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোদি বলেন, ‘বাংলার সুপুত্র শ্যামাপ্রসাদ দেশে বিনিয়োগের সূচনা করেছিলেন। ডিভিসির মতো অনেক বড় প্রকল্পে শ্যামাপ্রসাদের বড়সড় যোগদান ছিল। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বাংলার শিল্পোদ্যোগের পথিকৃৎ। বাংলার এই সুপুত্রকে উপযুক্ত সম্মান দিতে আজ থেকে কলকাতা বন্দরের নাম আমি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর রাখলাম।’