বর্তমান যুগে সিনেমা হলকে টিকে থাকার জন্যে রীতিমতো লড়াই চালাতে হচ্ছে। বেঁচে থাকা নয়, এ হচ্ছে টিকে থাকা। দীর্ঘ ৮৮ বছর পথচলার অবসান হল মিত্রা প্রেক্ষাগৃহের।
সত্যজিৎ রায় থেকে শুরু করে নাট্যকার ঋত্বিক ঘটক , মৃণাল সেন, তপন সিংহ কালজয়ী শিল্পীদের প্রাণ মিত্রা অতলের ইতিহাসে ডুবে গেল। একদিকে আধুনিকতার উন্নতি, অপরদিকে ঐতিহ্য, সংস্কৃতির অবলুপ্তি। ঐতিহ্য দিনের পর দিন হার মেনে চলেছে ডিজিটাল যুগের কাছে। দর্শকের কাছে হ্রাস পাচ্ছে সিঙ্গল স্ক্রিনের চাহিদা। আর তাই মেট্রো, এলিট, চ্যাপলিনের পর পালা এল ‘মিত্রা’র। দর্শকের সাথে মিত্রা’র মিত্রতা’র অবসান হল। উত্তর কলকাতার ১৯৩১ সালে তৈরি হওয়া , বটগাছের মতো যুগের ইতিহাস ধরে রাখা ‘মিত্রা’ তার যাত্রা শুরু করেছিল বাংলা সিনেমা ‘দেনা পাওনা’র মধ্যে দিয়ে।
স্বাধীনতার পূর্বে স্থাপিত হওয়া কলকাতা নগরীর প্রাণ ‘মিত্রা’কে কিনে নেন হেমন্তকৃষ্ণ মিত্র। প্রথমে এর নাম ছিল ‘চিত্রা’। হেমন্ত বাবুই নাম পালটে ‘মিত্রা’ নামকরণ করেন । দর্শকের সাথে ‘মিত্রা’ অন্তরের মিত্রতা করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু শ্যামবাজার–হাতিবাগান স্থিত ‘মিত্রা’ মাল্টিপ্লেক্সের দাপটে এবং প্রেক্ষাগৃহ সুচারুরুপে চালানোতেও বড় খরচের ব্যাপার হয়ে পরায় এবং দর্শকের সংখ্যাও কমে যাওয়ায় বর্তমান মালিক দীপেন্দ্রকৃষ্ণ মিত্র ঐতিহ্যবাহী মিত্রা সিনেমা হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।