আজ ঐতিহাসিক #২১জুলাই #শহিদদিবস। ২৬ বছর আগে আজকের দিনেই ১৩জন যুব কর্মী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সেই থেকে প্রতি বছর আমরা এই দিনটিকে #শহিদদিবস হিসেবে পালন করি। বাম জমানায় নিহত সকল শহিদদের আমার প্রণাম জানাই। ১/২
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 21, 2019
একুশে জুলাই, সেই স্মরনীয় দিন । শহিদ স্মরণ । এই দিবসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল স্লোগান ছিল ‘ব্যালট ফেরাও’ ।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে নৌকাডুবির পর মমতা ‘ব্যালট’ ইস্যুতেই সরব হয়েছিলেন।
আজ আবারও শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, তিনি তাঁর অবস্থানে অনড় থাকবেন। রাজ্যের যে কোনও ভোটই হোক, মুখ্যমন্ত্রীর আস্থা ব্যালটেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে লোকসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর হারের জ্বালা বড্ড বেশি । তাই ঘায়ে বারংবার প্রলেপ দিতে দেখা যাচ্ছে ‘ব্যালট’ মলম দিয়ে !
এদিন কাটমানি নিয়ে ক্ষুরধার আক্রমণ চালালেন বিজেপিকে মমতা । কোন কোণায় লুকিয়ে আছে বিজেপি, সকলকে তাঁর ভাষণ কান খুলে শুনে নিতে বললেন ।
আরামবাগ প্রভৃতি অঞ্চলে শহিদ দিবসে আসার কালে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে বচসা সৃষ্টি হয় । তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, যে যে স্থানে ভারতীয় জনতা দল তৃণমূলকে বাধাদান করেছে, সেখানে পাল্টা মিটিং করে দেখিয়ে দেয়া হবে ।
‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’ । এই বাণী আওড়ে দলীয় কর্মী, অনুরাগীদের উৎসাহ দিলেন । বললেন, আগামি নির্বাচনে, আসনের সংখ্যা পুরো উল্টে যাবে ।
সমাবেশ মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘ঘরে বসে কখনই রাজনীতি করা যাবে না। রাস্তাই আমাদের রাস্তা দেখাবে।’’
একুশের জনসভা থেকে পিআরটি স্কেলের দাবিতে অনশনকারী শিক্ষকদের কড়া বার্তা দিলেন মমতা। সমাবেশ মঞ্চ থেকে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের সমান মাইনে চাইলে দিল্লির চাকরি করুন।’’
এদিন মমতা জোরালো কন্ঠে যথারীতি ভঙ্গিমায় শাসালেন সিপিএমকে । বললেন, ‘সিপিএমে যাঁরা ৩৪ বছরের হার্মাদ, তাঁরা আজ বিজেপির ওস্তাদ । তাঁদের না আছে লজ্জা, না আছে ঘৃণা, না আছে ভয়’ ।
ভারতে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই । একথাও তিনি জোর গলায় বলেন । তৃণমূল সুপ্রিমোর মতে বিজেপি দল কেবল ‘নেতি’ ‘নেতি’ !
যাই হোক, শেষ ভাল যার, সব ভাল তার ! আগামি বিধানসভা নির্বাচনে মেঘ সরিয়ে সূর্য ওঠে কিনা, সেটাই মূখ্যত দেখার বিষয় !