মুম্বাইয়ে বাঙালি চিত্রশিল্পী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীকে কেন হত্যা করা হয়েছে? তাহলে কি বাঙালিরা অন্যান্য রাজ্য এবং দেশে নিরাপদ নন? আদৌ তাঁরা যে নিরাপদ নন, তা আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল।
কলকাতার সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যসূত্র অনুযায়ী, শিল্প-নির্দেশককে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁর ল্যাপটপে সংগৃহীত বিভিন্ন নকশা চুরি করার জন্যে।
এ ঘটনায় মোট অভিযুক্ত ৪ জন। তাঁদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ২ জনের খানা তল্লাশি চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনিরা মুখ খুলেছে। মহম্মদ ফুরকান অপরাধের কথা শিকার করে জানিয়েছে, মালবনির একটি গুদামে তারা কৃষ্ণেন্দুকে খুন করে দেহটি গাড়িতে চাপিয়ে নালায় ফেলে দেয়।
তবে তদন্তকারীদের মতে এই খুন, মূল্যবান সমস্ত নকশা সংগ্রহের জন্যেই।
শনিবার অর্থাৎ ১০ আগস্ট চিত্রশিল্পী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী (৩৭)র নশ্বরদেহ মুম্বইয়ের মালবনি থানা এলাকার বিরার অঞ্চলের একটি নালা থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত কৃষ্ণেন্দুর বাড়ি কোন্নগরের মাস্টারপাড়ায়।
কৃষ্ণেন্দুর বন্ধু চিন্ময় জানিয়েছেন, অপরাধী মঃ ফুরকান নিজের দোষে ধামাচাপা দেবার জন্যে নিজেই গিয়ে পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে কৃষ্ণেন্দুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মুম্বই থেকে চিন্ময় জানিয়েছেন যে, কৃষ্ণেন্দু এবং তাঁর বন্ধু চিন্ময় খুনী ফুরকানের কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা পেতেন। কিন্তু শিল্পী খুন হয়েছে টাকার জন্যে নয়। তিনি বলেন “আমাদের ল্যাপটপ হাতাতেই ও কৃষ্ণেন্দুকে খুন করে। ওর ধারণা ছিল, আমাদের ল্যাপটপ নিতে পারলেই আমাদের শিল্প নির্দেশনার সমস্ত নকশা পেয়ে যাবে”।
ঘটনা ক্রমশ জটিল দিকে মোড় নিচ্ছে।