বাবা সুনীল মণ্ডল বহুদিন ধরেই বাড়িতে টাকা-পয়সা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বাড়িতে চলছিল মনোমালিন্য। শুধু তাই নয়, সুনীল বাবুর মধ্যে বিরাট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছিল।
সেই দেখেই মা-ছেলের সন্দেহ জাগে। ছেলে জানতে পেরে যায় বাবার আনাগোনা শুরু হয়েছে পতিতার বাড়িতে। মাকে সঙ্গে নিয়ে সন্দেহের বশেই দুর্গাপুর এলাকায় হানা দেয় ছেলে।
এবং যা আশংকা করা হয়েছিল তাই সত্যি হল। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর আনন্দবিহারের এক বাড়িতে বাবাকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় এক মহিলার সঙ্গে দেখে ফেলে ছেলে।
মধুচক্রের কারবার চালানো ওই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু সুযোগ বুঝে পালিয়ে গেছেন গুণবান সুনীল মণ্ডল।
পুরুষের নিত্য আসা-যাওয়া চলত সে বাড়িতে। ভোমরা মধু খেতে আসে বলেই এমন পেশা আজো চলছে।
মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় মধুচক্র চালাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হাতেনাতে ধরা যাচ্ছিল না। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
প্রশ্ন হল, আনন্দবিহারের মতো উন্নত, অভিজাত এলাকা, যেখানে ডিএসপি আধিকারিকদের বাস, এমন কড়া প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে কিভাবে এতকাল ধরে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন ওই মহিলা?