কলকাতা: বাংলার (bangla) দুর্গাপুজো (Durga puja) শুধু বাংলার নয়, গোটা বিশ্বজুড়ে মায়ের পুজোকে সাদরে গ্রহণ করেছে মানুষ। জাত ধর্ম বর্ণ নেই, দুর্গা পুজোয় (Durga puja) প্রায় মানুষ অংশগ্রহণ করে, আনন্দ করে, আনন্দ ভাগ করে নেয়। বাঙালিরা (Bengali) বঞ্চিত করে না। সাদরে সবাইকে আমন্ত্রণ দুর্গা পুজোয় (Durga puja)।
বাংলার (bangla) দুর্গাপুজোকে (Durga puja) হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো (UNESCO)৷ এবং ইউনেস্কোর (UNESCO) স্বীকৃতি উদযাপনে মেগা ব়্যালির আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷
গোটা কলকাতা (Kolkata) সেজে উঠেছে, মেতে উঠেছে। মহামিছিলের আগে আরও একবার ইউনেস্কোর (UNESCO) প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ।
এদিন সকাল সকালে টুইট করে পুজোর এক মাস আগেই দুর্গাপুজোর ঢাকের বাদ্যি বাজিয়ে দিলেন পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee).
টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “দুর্গাপুজো (durga puja) একটি আবেগ, যা সংকীর্ণ বাধার ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে৷ আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে শিল্পের মেলবন্ধন ঘটে৷ এটাই উৎসবের মাহাত্ম৷ দুর্গাপুজোকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এবং প্রত্যেকের ভালোবাসা ও শ্রমকে সম্মান দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোকে আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷”
Durga Puja is an emotion that rises above parochial barriers and brings us together.
It unites the magnificence of art with spirituality.
We thank @UNESCO for recognising Durga Puja as an intangible cultural heritage and honouring the labour of love of everyone involved. মমতার টুইট।
এবার পশ্চিমবঙ্গে মহাধুমধাম দুর্গাপুজো (durga puja)। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এ বছর আমরা একমাস আগে থেকেই পুজো শুরু করব৷ বৃহস্পতিবার ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাব৷ কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে পদযাত্রা শুরু হবে৷
মমতা বলেন, সাতটা ওয়ার্ড ঘুরে সেই পদযাত্রা শেষ হবে রেড রোডে৷ সেখানে সকলের বসার ব্যবস্থা করা হবে৷ যাঁরা হাঁটতে পারবেন, তাঁরা মিছিলে যোগ দেবেন৷ আর যাঁরা পারবেন না, তাঁরা রেড রোডে এসে অনুষ্ঠানে সামিল হবেন৷ তবে, সকলে আসবেন৷ জাতি, ধর্ম, মতাদর্শ ভুলে সকলে দুর্গাপুজোর এই উৎসবে সামিল হবেন৷ এটাই সকলের কাছে আবেদন৷ সকলকে হয়তো ব্যক্তিগতভাবে ডাকা সম্ভব হল না৷ তার জন্য কেউ কষ্ট পাবেন না৷”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কলকাতা, হাওড়া ও সল্টলেকের পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল শুরু করেন। আনন্দময় মুহূর্ত বটে।