কলকাতা: দুর্গা পূজার অপেক্ষা দশমীর থেকেই শুরু হয়ে যায়। পরের বছরের পুজোর দিন গুণতে গুণতে অবশেষে আসে। এবং ২০২২ সালের দুর্গা পুজোর দিনও চলে এল।
Durga Puja-র জন্য প্রস্তুতি প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বছর অক্টোবরের প্রথম দিন পড়েছে মহাষষ্ঠী। এবং ৫ অক্টোবর মহাদশমীতে পুজোর বিসর্জন।
অপেক্ষার সেই দিনগুলো যখন সামনেই, তখন জেনে নিন এই বছরের পুজোর নির্ঘণ্ট।
পিতৃপক্ষ শুরু – ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার
মহালয়া – ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রবিবার
মহাপঞ্চমী: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
মহাষষ্ঠী: ১ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
মহাসপ্তমী: ২ অক্টোবর ২০২২ রবিবার
মহাঅষ্টমী: ৩ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
মহানবমী: ৪ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার
বিজয়া দশমী: ৫ অক্টোবর ২০২২ বুধবার
মহালয়া ২০২২ অমাবস্যা তিথি –
২৪ সেপ্টেম্বর (৭ আশ্বিন), শনিবার, রাত ২/৫৫/৩৯ মিনিট অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর (৮ আশ্বিন), রবিবার রাত ৩/২৪/১৭ মিনিট পর্যন্ত থাকছে।
মহালয়া ২০২২ অমৃতযোগ –
দিবা ঘ ৬। ২৩ গতে ৮।৪১ মধ্যে ও ১১।৪৫ গতে ২।৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ঘ ৭।৩৮ গতে ৯।১৮ মধ্যে ও ১১।৫৭ গতে ১।২৭ মধ্যে ও ২।১৭ গতে ৫।৩০ মধ্যে।
মহালয়া ২০২২ মাহেন্দ্রযোগ –
দিবা ঘ ৩।৩৬ গতে ৪।২২মধ্যে।
‘মহালয়া মানেই পুজো শুরু হয়ে যাওয়া। হাতে গোনা দিন বাকি মহালয়ার। শিউলি ফোটা গাছ, আকাশে বাতাসে শরতের গন্ধ, মায়ের গন্ধ।
পিতৃপক্ষের শেষ দিনে আসে ‘মহালয়া’। আর পরের দিনই শুরু হয়ে যায় দেবীপক্ষ – মা দুর্গার বাপের বাড়ি আসার সময়কাল। তাই ‘মহালয়া’ যেন মা দুর্গারই আগমনের সূচনা করে।
এই ‘মহালয়া’ শব্দটি কী ভাবে এসেছে, এ নিয়ে বিভিন্ন মত। কেউ কেউ বলেন ‘মহালয়া’ শব্দটি এসেছে ‘মহান লয়’ এই শব্দগুচ্ছ থেকে। অনেকে আবার বলেন, ‘মহালয়া’ শব্দটি এসেছে ‘মহান আলয়’ শব্দগুচ্ছ থেকে।
সনাতন ধর্ম মতে এই সময়ে অর্থাৎ এই কৃষ্ণপক্ষকালে যমলোক বা পিতৃলোক থেকে এসে পূর্বপুরুষদের প্রেত মর্ত্যলোকে বসবাস করে নিজের পরিজনদের সঙ্গে। এর পর তাঁরা আবার পিতৃলোকে ফিরে যান। এই সময় প্রয়াত পরিজনদের আত্মার যে সমাবেশ ঘটে তাকে বলা হয় মহান লয়। সেই শব্দ থেকে এসেছে ‘মহালয়’ শব্দটি।
আরেকটি ব্যাখ্যা:
দেবীশক্তি আদিশক্তি। তিনি মঙ্গলদায়িনী। সাধক সাধনা করে দেবীর বর লাভের জন্য। তিনি দেবীর মহান আলয়ে প্রবেশ করার সুযোগ করে নেন। এই কারণেও দিনটিকে মহালয়া বলা হয়। পিতৃপক্ষের শেষ দিন ‘মহালয়া’। তার পর প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ দেবীবন্দনার সময়কাল।