গুয়াহাটি: সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায় আজ অন্য আরো পাঁচজনের মতোই ভাইরাল। ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের এই ছাত্রী আজ দক্ষ হাতে সামলাচ্ছেন পাইস হোটেল।
তিনি খুশি। কারণ মা বাবার পাশে দাঁড়াতে পারছেন তিনি।ডালহৌসি স্কোয়্যারের পাইস হোটেলের মালকিন এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছেন।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বাংলাদেশ থেকেও ইউটিউবাররা আসছেন ভিডিও করার জন্য। ঠিক আছে, একটি বিষয় হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ইত্যাদিতে ভাইরাল হওয়া আজকাল খুব সহজ বিষয়।
রানু মণ্ডল, মাখা কাকু, কাঁচা বাদাম, এমন আরো আছে যারা ভাইরাল হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু এই ট্রেণ্ড বেশিদিন থাকে না। একসময় ভালো ভিডিও হবে, আর যখনই আপনার এসবে রাগ ধরবে, আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটবে, কাস্টমারের সাথে কথা বলতে পারবেন না তখন আপনার এইসব ভিডিও করা, ইন্টারভিউ দেয়া ভীষণ বিরক্তিকর মনে হবে।
এবং বিরক্ত হলেই আপনার ইমেজ শেষ। আপনি যদি কড়া ভাষায় একটি কথা বলেন, সাথে সাথে মশলা যুক্ত হয়ে সেটা লম্বায় বাড়বে। হাজার মানুষ দেখবে, এবং হাজার কমেন্ট পরবে সেখানে।
দর্শক তো জানেন না আপনার জীবনের লড়াই, কিন্তু না জেনেই শুধু ঐ কড়া ভাষার জন্যেই আপনার পোস্টমর্টেম বা যাকে বলে চুলচেরা বিশ্লেষণ হতে থাকবে। আপনার অবশ্যই একটু হলেও খারাপ লাগবে এগুলো দেখে।
বিজ্ঞানের আশীর্বাদ অভিশাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালের আশীর্বাদ- অভিশাপ একটা বিশাল ফ্যাক্টর আজকাল।
কারণ আজকালকার যুগে সবাই ট্রেণ্ডে গা ভাসায়। আর ভালো করতে করতে হঠাৎ মন্দ হয়ে যায়। সেই বিষয়ের দিকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।
হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, আপনাকে হাজার মানুষ দেখছে, আপনি পরিচিত হচ্ছেন, বা আপনার দুটো খদ্দেরও বাড়ছে। কিন্তু — চিন্তা করে দেখুন আপনার শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে আর অযথা গালি গালাজের শিকার হচ্ছেন।
আবার একজনকে ভিডিও করতে দিয়ে অন্যজনকে না দিলে সেখানেও মনকষাকষি হয়। নন্দিনী গাঙ্গুলিরও একটি রেগে ওঠার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এর মধ্যেই অনেকে গালি গালাজ করা শুরু করেছেন।
তারচেয়ে বরং এই ভালো যে ভাইরাল না হওয়া, শান্তিতে ব্যবসাটা করা। শেষ অবধি আপনার পাশে সেই পরিবারই।