মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর।
চিন থেকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে দেশগুলো। শক্তিশালী দেশ আমেরিকাও গভীর সংকটে এখন।
এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিনের পক্ষপাতিত্ব করছে, এই ভয়ানক অভিযোগে ‘হু’কে আর্থিক অনুদান প্রদান বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে।
আমেরিকার অভিযোগ, চিনে মহামারির আকার ধারণ করা করোনার ভয়াবহতা সন্দর্ভে বিশ্ববাসীর সামনে ‘হু’ এই তথ্য গোপন রেখেছিল। নয়তো বিশ্বের দেশগুলো আগেই সাবধানতা অবলম্বন করতে পারতো।
উল্লেখযোগ্য যে, ট্রাম্পের বলার আগেই লেখক তসলিমা নাসরিনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে এই মত পোষণ করেছিলেন।
আমেরিকা গত বছর ‘হু’ কে ৪০০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছিল।
এ মুহূর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার পাশাপাশি পাকিস্তানকে প্রবল হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
পাকিস্তানে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছাড়া অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাস করা জনগণকে খাবার দেওয়া হচ্ছে না! এমনই ভয়ংকর অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় ক্ষেপে উঠেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি।
এই সময় ধর্ম বা জাতিগত বিদ্বেষের নয়। তাই পাকিস্তানে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের খাদ্য দিতে না চাওয়ার খবর সামনে আসতেই পাকিস্তানকে সতর্ক করল মার্কিন সরকারি সংস্থা।
ইসলামাবাদকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা জানিয়েছে, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংস্থার কমিশনার অণুরিমা ভার্গভ সোমবার বলেন, “কোভিড-১৯ দ্রুত সংক্রামিত হচ্ছে। পাকিস্তানে প্রত্যেকে নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখার জন্য অনাহারের সঙ্গে লড়ছে। কারোও ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য এভাবে তাকে খাদ্য সাহায্য থেকে বাদ দেওয়া যায় না। খবর মিলেছে পাকিস্তানে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের খাদ্য সাহায্য দিতে অস্বীকার করা হয়েছে। এসব একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।”
তিনি জানান, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান সকলের মধ্যে যাতে সমানভাবে খাদ্য বিনিময় করা হয়, পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে সে বিষয়ে কথা বলা হয়েছে।