ঘাসফুল ছিঁড়ে ছিঁড়ে পড়ছে পথে-ঘাটে। এদিকে পদ্মফুলে বসার জন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসছে ভ্রমররূপ নেতা-নেত্রীরা। এবার বৈশাখী ও শোভনকে উপেক্ষা করে বিজেপিতে খুব শীঘ্রই যোগ দেবেন দেবশ্রী রায়!
রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় দলে যোগ দিলে আমি বিজেপিতে নেই কোনমতেই। ১৪ আগস্ট, দলে যোগ দেবার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভনবাবু এবং বৈশাখী ব্যানার্জী এই ঘোষণা চমকে দিয়েছিল দিল্লির সদর দফতরকে। কারণ সেদিনই দরজার ফাঁক দিয়ে একঝলক দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সকলে ভেবেছিলেন শোভনের সঙ্গেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন দেবশ্রী। কিন্তু দেখা গেল যোগ দিয়েছেন শেষ মুহূর্তে শোভনবাবুর সঙ্গে বৈশাখী!
হাতের কাছে এসেও শোভনের মতো নায়ক ফসকে যাবেন, তা মেনে নিতে পারেনি বিজেপি। ফলে দেবশ্রীকে রেখেই অগ্রাধিকার পেলেন শোভন-বৈশাখী।
কিন্তু দেবশ্রী বিষয়ে বৈশাখী এতটাই উত্তেজিত ছিলেন যে, অনুষ্ঠানও বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিজেপির হস্তক্ষেপে রাজি হয়েছেন।
এরপরই দরজা বন্ধ করে দিলীপ ঘোষ ও জয়প্রকাশ মজুমদার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন। আলোচনায় বৈশাখী উপস্থিত ছিলেন না।
আলোচনা সভায় কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত শোভনকে বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের বাসা ভেঙে দেবার জন্যে এটাই উপযুক্ত সময়। তাই সেলেব দেবশ্রী রায়কে যদি গেরুয়া দলে টানা যায়, তাহলে সে কাজ জল ভাত হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে হ্যাঁ বা না বিশেষ কিছু শোনা যায়নি। এদিকে বৈশাখীর উত্তর যথেষ্ট রহস্যজনক। তিনি বলেন, কাকে দলে নেয়া হবে, কাকে নয়, তা নেতৃত্বই ঠিক করবে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রীর সঙ্গে শোভনবাবুর সু-সম্পর্ক ছিল। কিন্তু রাজনীতিতে যে কোন সু-সম্পর্কই কু-সম্পর্কে পরিণত হতে বেশি সময় লাগে না। সে হিসেবে, দেবশ্রী-শোভনের সম্পর্কেও ফাটল ধরে।
এবার দেখা যাক শোভন চট্টোপাধ্যায় আদৌ বিষয়টিকে কিভাবে নেন?