ভারতীয় সময় ঠিক কাটায় কাটায় ২.৪৩ মিনিটে উড়ান দেয় চন্দ্রযান-২ । ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযানকে নিয়ে উড়ে গেল ‘বাহুবলি’ । বলিউডের বাহুবলি নয়, ইসরোর এই রকেটে চেপেই চাঁদের অন্ধকার দিকের রহস্য উন্মোচনের জন্যে রওয়ানা দিল চন্দ্রযান-২ । ইতিহাসে নিজের নাম খোদাই করল ভারত । চন্দ্রযান-১ এর সফল অভিযানের পর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্রথম চেষ্টার বলে মঙ্গল কক্ষে যান পাঠিয়েছে ভারত ।
তবে কিছু কথা থেকে যায় আড়ালে, সঙ্গোপনে । বাঙালি ছেলে চন্দ্রকান্তের নেতৃত্বেই চাঁদে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-২ ।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চাষির ছেলে চন্দ্রকান্ত কুমার আজ ইসরোর একজন বড় বিজ্ঞানী ।
বিশ্বের খুব কম মানুষই জানেন তাঁর এই কৃতিত্বের সংবাদ । পূর্বেই বললাম, কিছু কথা রয়ে যায় গোপনে । কিন্তু আজ বাঙালি ছেলে চন্দ্রকান্তকে নিয়ে আনন্দ করছে রাজ্যবাসী, বিশ্ববাসী ।
চন্দ্রকান্ত উপগ্রহের গ্রাউন্ড স্টেশনের অ্যান্টেনা সিস্টেম ডিজাইন করেছেন । তাছাড়া আরএফ সিস্টেমের সম্পূর্ণটাই তৈরির দায়িত্বে ছিলেন তিনি ।
এই কৃতিত্ব তাঁর প্রথম নয় । চন্দ্রযান-১ এর অ্যান্টেনা সিস্টেমও তিনিই ডিজাইন করেছিলেন ।
তাঁর পরিবার, রাজ্যবাসী কোনদিন ভাবতে পারেনি, চন্দ্রকান্তের সৃষ্টি আজ সত্যিই চন্দ্রে যাবে ।
পুত্রের অভাবনীয় সাফল্যে চোখে জল মা-বাবার ।
বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্তর মা জানিয়েছেন, টিভিতে পুত্রের সাফল্যের সংবাদ দেখে আমরা ভীষণ গর্বিত ।
চন্দ্রকান্তর পাশাপাশি গর্বিত আজ বাংলা, গর্বিত সমগ্র বিশ্ববাসী । জয় হোক বাংলার, জয় হোক ভারতের ।