উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে রবীন্দ্রনাথ এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করা শ্বাশত মানুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী এবার বড়পর্দায় তুলে ধরতে চান বলিউড পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া।
চিত্রনাট্যের প্রথম ড্রাফট পেলে হাত দেবেন রবি ঠাকুরের জীবনী নিয়ে ছবি নির্মাণে।
একসময়ের বদ্ধতাই যে জীবনে অপার স্বাধীনতা এনে দিতে পারে, তা আপামর বাঙালিসহ বিশ্ববাসী জেনেছে কবিগুরুর জীবনী থেকে। তবে নিজের চারদিকে থাকা বাধাকে অবশ্যই ইতিবাচক দিক দিয়ে দেখতে হবে। নইলে সম্ভব নয় কিছুই।
তা আমরা জেনেছি ‘জীবনস্মৃতি’ থেকে।
তবে পরিচালক ঠিক কীভাবে এই মহৎ মানবের জীবনীতে হাত দেবেন, তা জানাননি।
নিয়মের বেড়াজালে কেটেছিল বিশ্বকবির জীবন। চাকরদের শাসনে তখন তাঁদের দিন অতিবাহিত হতো। দেখতেন আগ্রহী দৃষ্টি মেলে বাড়ির সামনের পুকুরটাকে। যেখানে একের পর এক মানুষের স্নান করতে আসা। কবি জানালার একটুখানি ফাঁক দিয়ে দেখতেন।
সে সময়ই নিজেকে খাঁচার পাখি এবং বাইরের সুস্বাদু প্রকৃতি, পাখিকে দেখে দেখে অনন্ত পিপাসায় তিনি তাদের বনের পাখি বলে মুক্তি দিয়েছিলেন। এবং নিজের মনেও তিলে তিলে লালন করতে থাকেন মুক্ত আকাশের গন্ধের, মুখে এক লহমায় ছুঁয়ে যাওয়া সুতীব্র বাতাসের।
একদিন ঘরের আড়ালে থাকা শিশু রবি আজও বিরাট বিশ্বের বিশ্বকবি। থাকবেন আজীবন।
প্রসঙ্গত, বিনোদ চোপড়া জানান, কবির বিষয়ে আরও জানার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। যেমন ‘পরিণীতা’ তৈরি করার সময় বিদ্যা বালানকে কলকাতায় রেখে বাঙালির আদব-কায়দা শিখিয়েছিলেন ঠিক সেভাবেই এই ছবি মজবুত করতে চান।
উল্লেখ্য, গত ১১ বছর ধরে গবেষণা করে ‘শিকারা’ ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে ছবিটি শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে।