আমি হিন্দু চিনি না, মুসলমানও চিনি না, আমি চিনি মানুষকে । এমনই মনুষ্যত্ব তথা সাম্যের জয়গান গেয়ে চলেছেন বারাসতের বসু পরিবার ।
জাত ধর্মের উর্দ্ধে উঠে পশ্চিমবঙ্গের বারাসতের নবপল্লী বয়েজ স্কুলের পাশে বসু পরিবারের আমানতি মসজিদে হিন্দু, মুসলিম–সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষ বুধবার এসেছেন ঈদ উপলক্ষে।
এদিন কেউ হাত জোড় করে প্রার্থনা করছেন, আবার কেউ পড়ছেন নমাজ । কোন ভেদাভেদ নেই ।
উল্লেখ্য, মন্দিরের নাম আমানতি মসজিদ । ৩০০ বছর পুরনো এই মসজিদ । ১৯৬০ সালে বিনিময় প্রথায় এই মসজিদ বসু পরিবার পেয়েছিলেন ।
পূর্বপুরুষের আমল থেকে মসজিদ পরিচালনা তথা দেখভালের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বসু পরিবার । মূলত তাঁদের জমিতেই রয়েছে এই আমানতি মসজিদ । বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন আমানতি মসজিদকে এই হিন্দু পরিবার ।
বসু পরিবারের সদস্য পার্থসারথি বসু জানিয়েছেন, কারও মনে কোন রকম সংকীর্ণতা নেই । ঈদের পূর্বদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই হিন্দু–মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষ মসজিদটি সাজানোর কাজে আনন্দমনে যোগ দিয়েছেন ।
উল্লেখযোগ্য, বসু পরিবারের প্রত্যেক সদস্য এদিন নমাজে অংশগ্রহণ করেছেন ।