‘নবান্ন’ এর স্রষ্টা বিজন ভট্টাচার্যের আজ ১০২’ তম জন্মদিবস । নাট্যকারের জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
বিংশ শতাব্দীর নাট্যকারদের মধ্যে বিজন ভট্টাচার্য তথা বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক জ্ঞানপীঠ পুরস্কার বিজয়ী ‘হাজার চুরাশির মা’ র স্রষ্টা মহাশ্বেতা দেবীর স্বামী এক চিরস্মরণীয় নাম ।
বাংলা নাট্যমঞ্চের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ও সু-অভিনেতা বিজন ভট্টাচার্য ১৯১৭ সালে ১৭ জুলাই, আজকের দিনেই ফরিদপুরের খানখানাপুরে জন্ম গ্রহণ করেন ।
রেবতী বর্মনের লেখা মার্কসীয় দর্শন পড়ে সাম্যবাদে দীক্ষিত হয়েছিলেন তিনি । নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের নাম এলেই সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে ‘গণনাট্য’ বা ‘নবনাট্যে’র প্রসঙ্গ । কারণ তিনিই ‘গণনাট্য’ বা ‘নবনাট্যে’র পুরোধা ।
ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সংঘের অঙ্গ হিসেবে ১৯৪২ সালে জন্ম হয় গণনাট্য সংঘের । ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টি হয়ে ওঠে এর পথ প্রদর্শক । এই গণনাট্য মঞ্চে আত্মপ্রকাশ ঘটে সাম্যবাদী নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের ।
তিনি আপন মনে ২৫ টিরও বেশি নাটক সৃষ্টি করেছেন । স্রষ্টার সৃষ্টি আজ দীর্ঘ ৪১ বছর আমাদের অন্তরাত্মাকে জাগিয়ে রেখেছে । সেই বাণী কানের ভিতর দিয়ে মরমে প্রবেশ করেছে । যা অহরহ ধ্বনি তুলছে হৃদয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে যাবার জন্যে । এমনই বিজন ভট্টাচার্য ।
তাঁর পূর্ণাংগ নাটকঃ
@ নবান্ন (১৯৪৪)
@ অবরোধ (১৯৪৭)
@ জতুগৃহ (১৯৬২)
@ গোত্রান্তর (১৯৫৯)
@ মরাচাঁদ (১৯৬২)
@ ছায়াপথ (১৯৬২) প্রভৃতি ।
আধুনিক নবনাট্যের জন্মদাতা বিজন ভট্টাচার্যের লেখা কালজয়ী নাটক ‘নবান্ন’ ।
মহাশ্বেতা দেবী ও বিজন ভট্টাচার্যের সন্তান নবারুণ ভট্টাচার্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক ও কবি ।
নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য ১৯৭৮ সালের ১৯ জানুয়ারি ৬১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।