সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশে ত্রিপুরার মন্দিরগুলিতে রবিবার থেকে ফের পশু ও পাখি বলি শুরু হয়ে গেল।
গতকাল রাজ্যের ত্রিপুরেশ্বরি মন্দিরে পশু বলি দেয়া হয়। তবে কিছুটা বিধিনিষেধের মাঝে।
এদিন ৩০-৪০ টি পাঠা ফের পূর্বের মতোই বলি দেয়া হয়েছে।
মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত পালন করতে হবে। আর তাই এদিন মন্দিরে বলি দেওয়ার স্থানটি কালো প্লাস্টিক দিয়ে প্রথম ঢেকে দেয়া হয়েছিল। জানিয়েছেন গোমতীর জেলাশাসক তরুণকান্তি দেবনাথ।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা বিচারক সুভাষ ভট্টাচার্য মন্দিরে পশু বলি বন্ধের স্বপক্ষে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরার সমস্ত মন্দিরে প্রকাশ্যে বলি নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ের পক্ষে যে সকলে একমত ছিলেন তা নয়। রাজ্যে বলি নিষিদ্ধা করা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এ মর্মে রাজ্য সরকার পর্যন্ত উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে।
ত্রিপুরার আইনমন্ত্রী রতললাল নাথ সরাসরি হাইকোর্টের রায়ের অসম্মান করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্যবাসীর ভাবাবেগে আঘাত করার ইচ্ছা বা অভিপ্রায় তাদের নেই।
এই মামলায় বিগত ৮ নভেম্বর তারিখে হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
ত্রিপুরেশ্বরির প্রধান পুরোহিত চন্দন চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, ৫১৯ বছরের মধ্যে এ বারই প্রথম ৫৬ দিন বলি বন্ধ ছিল। এই বলি মায়ের পূজার অঙ্গ। বলি ছাড়া মায়ের পুজো সম্পূর্ণ হয় না!