লকডাউনের সময় বিনামূল্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উজ্জ্বলা যোজনায় সুবিধাভোগীদের বিনামূল্যে গ্যাস সিলিণ্ডার বিতরণ নিয়ে দুর্নীতির খবর ফাঁস হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, গত ২৬ মার্চ সমাজের দুঃস্থ শ্রেণীর যেন লকডাউনের সময় অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়, তারজন্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। এর অংশ হিসেবে উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় আসা ব্যক্তিদের ৩ মাসে ৩টি সিলিণ্ডার বিনামূল্যে প্রদানের কথা ঘোষণা করেছিলেন। অর্থমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও এই প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নজর রাখছেন।
এর আওতায় উত্তর ত্রিপুরা জেলার যুবরাজনগর ব্লক এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সহায়তায় জনগণের মাঝে সিলিণ্ডার দেয়ার কাজ শুরু হয়।
এদিকে, শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় আসা ব্যক্তিদের মধ্যে সিলিণ্ডার বিতরণ নিয়ে দুর্নীতির খবর সামনে আসে।
বর্তমানে সিলিণ্ডারের মূল্য ৯১৮ টাকা কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ প্রতি সিলিণ্ডার পিছু ৯৫০টাকা করে খরচ করছেন।
দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই অঞ্চলের একজন সমাজসেবী গোপিকা কান্ত দত্ত শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এবং দেখার জন্যে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে, শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের পোস্টে কমেন্টের পর উক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সচিব মনোতোষ রায় স্বীকার করেছেন ফেসবুকেই যে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে তাঁরা ৯৫০ টাকা করে নিয়েছেন।
তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই দুর্নীতিকে সমর্থন করতে গিয়ে উদ্ভট কমেন্ট করা শুরু করেন।
করোনার এই মারাত্মক সময় দেশ, রাজ্য যখন যুদ্ধ করছে, সে সময় গ্যাস সিলিণ্ডার নিয়ে এমন দুর্নীতি ক্ষেপিয়ে তুলেছে এলাকাবাসীকে।
এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সমাজসেবী গোপিকা কান্ত দত্ত। এছাড়া উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে গতকাল সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক যুবজননগর আরডি ব্লক এবং জেলা শাসক, উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে আবার মনোতোষ পরবর্তীতে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। এবার দেখার বিষয়, মনোতোষের বিরুদ্ধে কতটুকু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়!