আগরতলা: Tripura রাজ্যের ভিলেজ কাউন্সিলগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে দীর্ঘ দিন হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন করতে হবে।
এই দাবিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার tripura প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। রাজধানীর চিত্তরঞ্জন রোড এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রদেশ কমিটির অফিসে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচনের দাবি জানান যুব নেতা পূজন বিশ্বাস।
তিনি বলেন, tripura রাজ্যের ভিলেজ কাউন্সিলগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে বিগত অনেক মাস আগে। এই নির্বাচনে tripura রাজ্যের শাসক দলের হার নিশ্চিত জেনে চুপচাপ বসে আছে।
এই বিষয় নিয়ে tripura রাজ্যের একটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ছিল একটি রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন আয়োজন করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়।
এই সময়সীমা ইতিমধ্যে উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শাসক দল এই নির্বাচন করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কারণ তারা জানে এই নির্বাচনে তাদের হার নিশ্চিত। যদি খুব দ্রুত ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন সম্পন্ন না করা হয় তাহলে রাজ্যের গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে যাবে।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন সময় মত ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন না করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে রাজ্যের বর্তমান সরকার। এই পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজ্যে দ্রুত ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন হওয়া উচিত বলে দাবি করেন তিনি।
সেই সঙ্গে আরো অভিযোগ করে বলেন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যবাসীকে যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার কিছুই তারা এখন পর্যন্ত পূরণ করতে পারেনি। তারা বলেছিল ক্ষমতায় এলে কেন্দ্র থেকে সরাসরি অর্থ এডিসিতে পাঠানো হবে।
কাউন্সিল গঠন করা হবে রাজ্যের এডিসি এলাকাতে। কিন্তু এখন তারা এইসব নিয়ে কোন কথা বলছেন না বলেও মন্তব্য করেন। প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূরণ না করায় রাজ্যের পাহাড়ি এবং গ্রামীণ এলাকা পিছিয়ে পড়েছে। তারা কথায় কথায় বলে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে কিন্তুকিছুই করেনি বলে অভিযোগ।
সাধারণ ভাতা প্রাপকদের ২,০০০ টাকা করে ভাতা দিয়েছে এটা ঠিক, কিন্তু এর জন্য ৭০শতাংশ মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। পূর্ব প্রতিশ্রুতি গুলো পূরণ করার জন্য সরকারের উপর চাপ দেবে তৃণমূল কংগ্রেস দল।
এইজন্য সারারাত জুড়ে আন্দোলন কর্মসূচি গড়ে তোলা হবে বলেও এদিন জানান পূজন বিশ্বাস। এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন দলের জনজাতি নেতা কল্প মোহন ত্রিপুরা সহ অন্য অন্যরা।