ইউপিএসসি প্রিলিমিনারি এবং মেইন পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনকারীদের আর্থিকভাবে সাহায্য প্রদান করার চিন্তাভাবনা করছে ত্রিপুরা সরকার। সেই মোতাবেক ত্রিপুরা মন্ত্রিসভায় একটি প্রকল্প অনুমোদন করার ব্যবস্থা করবে রাজ্য শিক্ষা দফতর।
এই প্রকল্পের আওতায় ইউপিএসসি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনকারীদের ১ লক্ষ টাকা এবং মেইন পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনকারীদের ২০ হাজার টাকা সাহায্যের সঙ্গে অন্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।
এছাড়া, মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনে মেধাবী ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বিশেষ কোচিং এর ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিজ্ঞান প্রতিভা অন্বেষণ এবং শিক্ষামন্ত্রী গণিত প্রতিভা অন্বেষণ প্রকল্পও শুরু করতে চলেছে সরকার।
আইএএস, আইপিএস, আইএফএস এবং আইআরএস-এর জন্য ইউপিএসসি-তে বাছাই হতে হয়। এক্ষেত্রে ত্রিপুরা থেকে ২০১২, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে একজন করে এবং ২০১৭ সালে তিনজন প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাই এখন, ত্রিপুরা সরকার ইউপিএসসি পরীক্ষায় যারা প্রিলিমিনারি এবং মেইন উত্তীর্ণ হবেন, তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা দেবে।
সূত্রের খবর, প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ হলে মেইন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ত্রিপুরা ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায়তা দেবে। তাছাড়া, মেইন উত্তীর্ণ হলে ইন্টারভিউতে অংশ নেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকার সঙ্গে দিল্লিতে ত্রিপুরা ভবনে বিনামূল্যে থাকা এবং সরকারি গাড়িতে যাতায়াতের সুবিধা প্রদান করা হবে৷ এই প্রকল্পটি শীঘ্রই মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের ব্যবস্থা করবে শিক্ষা দফতর।
এদিকে, সুপার ৩০ প্রকল্পের অধীন মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য ৩০ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে ত্রিপুরা সরকার। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বিজ্ঞান প্রতিভা অন্বেষণ এবং শিক্ষামন্ত্রী গণিত প্রতিভা অন্বেষণ প্রকল্পের অধীন প্রতি বছর দশম শ্রেণির ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, বর্তমানে একাদশ শ্রেণিতে ১৫ শতাংশ পড়ুয়া বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনা করেন। ওই হার ৩০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই এই দুই প্রকল্প চালু করতে চলেছে সরকার। এই সমস্ত প্রকল্পে বছরে ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরেছে শিক্ষা দফতর।