ত্রিপুরা সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং জিবি পন্থ হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ কৌশিক চক্রবর্তীকে তাঁর কার্য থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অধ্যাপক কৌশিক সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের বিরুদ্ধে কটাক্ষ তথা বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছেন।
সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একজন সরকারি কর্মচারি হওয়া সত্ত্বেও অহংকারবশে তিনি মানহানিকর মন্তব্য লিখে সরকারি চাকুরির সমস্ত শর্ত ভঙ্গ করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা তাঁর লেখার স্ক্রিনশটটিঃ
ডাঃ চক্রবর্তী টুইটারে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা করেছেন। লিখেছেন, ‘এই বিল বহু সম্প্রদায়ের মধ্যে অহেতুক চিন্তার উদ্রেক করবে।’
উল্লেখযোগ্য যে, অধ্যাপক কৌশিক চক্রবর্তীকে রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের পক্ষ থেকে শোকজ করা হয়।
এরপর তিনি স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন, অধ্যাপককে শোকজ করার অধিকার আন্ডার সেক্রেটারির আদৌ আছে কি না!
শোকজের জবাবে কৌশিক সরাসরি জানান, তিনি একজন মুক্ত মানুষ। মুক্তভাবে নিজের অভিমত প্রকাশ করার অধিকার তাঁর রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২১ অক্টোবর অর্থাৎ সোমবার তাঁকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, বিনা অনুমতিতে তিনি আগরতলা ছেড়ে যেতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, সোশাল মিডিয়ায় কে কী লিখছে সে দিকে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে তাঁর।
বলা বাহুল্য, কৌশিক বাবুর ঘটনাই প্রথম নয়। কলেজের ছাত্রসহ বহু লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের মত প্রকাশ করে গ্রেপ্তার হয়েছেন ত্রিপুরায়।