পয়লা সেপ্টেম্বর আগরতলার রবীন্দ্র ভবনে ‘সড়ক সুরক্ষা জীবন রক্ষা’ শীর্ষক এক গণজাগরণমূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দলীয় কর্মীদের নিয়ে সড়ক পরিক্রমায় অংশ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সতর্কতা সৃষ্টি করার জন্যে অভিযান বটে, কিন্তু তা ধরে রাখতে হবে আজীবন। আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর।
রাজ্যে অহরহ ঘটে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। যে কোন সময়, যেখানে সেখানে প্রাণ হারাচ্ছে ৮ থেকে ৮০। অথচ শহরে হিরো সেজে দুরন্ত গতিতে বাইক চালানো, সিট বেল্ট না বেঁধে নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালিয়ে নিজের জীবন তো বিপদাপন্ন করে তুলছেই চালকরা, পাশাপাশি পথচারীদের জীবন হয়ে উঠেছে ত্রাসে ভরা।
ফলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এবার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক আইন লঙ্ঘনকারীদের কোনমতেই আর রেহাই দেয়া হবে না । আইন ভঙ্গ করলেই নিমেষে ভরতে হবে জরিমানা, বাজেয়াপ্ত হতে পারে ব্যক্তিগত বাহন পর্যন্ত।
# রাজ্যে সরকারি আধিকারিকদের আদেশ অমান্য করলে ২ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে।
# বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালালে ৫ হাজার টাকা জরিমানা
# মত্তাবস্থায় গাড়ি চালালে হতে পারে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা
# গাড়ির চালকরা সিট বেল্টহীন অবস্থায় গাড়ি চালালে ১ হাজার টাকা জরিমানা
# এছাড়া রাস্তায় কোন চালক প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চালিয়ে যেতে পারবেন না। এমন অবস্থায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
গাড়ি, বাইক চালকদের পাশাপাশি সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে পথচারীদেরও। কারণ আজকাল অহরহ দেখা যায়, পথচারীরা সড়কে হেঁটে যাবার সময় কানে মুঠোফোন চেপে কথা বলে বলে যাচ্ছেন। এই কাজ আইনত দণ্ডনীয়।
পথচারীরা মোবাইলে কথা বলার সময় সতর্ক মস্তিষ্কে খেয়াল রাখতে পারছেন না সড়কের দিকে। ফলে মুহূর্তে মুহূর্তে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন।
এছাড়া, সড়ক সুরক্ষা অভিযানে বারংবার সাবধান করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তাঁরা যেন অবশ্যই হাঁটার সময় রাস্তার ফুটপাথ ব্যবহার করেন!
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের আশা, সড়ক সুরক্ষা সচেতনতা অভিযান জনসাধারণের মধ্যে বৃদ্ধি করবে সজাগতা।