আগরতলা: গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ত্রিপুরার (tripura) সিপাহীজলা জেলার অন্তর্গত কলমচৌড়া (kalamchora) থানার পুলিশ বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রী আটক করতে সক্ষম হলো।
কলমচৌড়া (kalamchora) থানার পুলিশের কাছে খবর ছিল মানিক্যনগর এলাকার একটি জঙ্গলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শুকনো গাঁজা প্যাকেটিংয়ের কাজ চলছে।এই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
অভিযান চালিয়ে ২১০ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে। আটককৃত নেশা সামগ্রীগুলির বাজারজাত মূল্য প্রায় ১০লক্ষ ৫০হাজার টাকা। তবে এই গাঁজাগুলি কার ছিল তা এখনো জানা যায়নি।
এই গাঁজা গুলি চড়া দামে বিক্রির জন্য অথবা বাংলাদেশ (bangladesh) কিংবা বহিঃরাজ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে জঙ্গলে লুকিয়ে রেখে প্যাকেটিং এর কাজ করছিলো পাচারকারীরা।পরে এই গাঁজাগুলি পুলিশ উদ্ধার করে কলমচৌড়া (kalamchora) থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ জানান আগামী দিনে কলমচৌড়া থানা এলাকায় এই ধরনের নেশা বিরোধী অভিযান জারি থাকবে। তাছাড়া তিনি আরো বলেন কলমচৌড়া এলাকাকে নেশামুক্ত সমাজ গড়তে এলাকার সকল অংশের মানুষের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
তা না হলে আগামী দিনে এই সমাজকে নেশা মুক্ত করা সম্ভব হবে না। ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসার পর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা (tripura) গড়ার ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
কিন্তু সরকারের প্রথম এক বছর নেশার সাম্রাজ্য কিছুটা হ্রাস পেলেও পরবর্তী সময়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার এবং প্রশাসন নেশা মুক্ত ত্রিপুরার (tripura) কোন খবর রাখেননি।
তাই আবার ধীরে ধীরে নেশার সাম্রাজ্যে পরিণত হয়ে যায় ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরা (tripura)। তখন রাজ্যের দিকে দিকে শুরু হয়ে যায় গাঁজা চাষ,ফেন্সি,ইয়াবা ট্যাবলেট সহ বহু নেশা সামগ্রী পাচার বাণিজ্য সহ সেবন কাজ।
রাজ্যের স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি যুব সমাজ নেশার অকাল গ্রাসে পরিণত হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাগুলি প্রতিদিন রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমগুলিতে চোখ পড়লেই লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিদিন রাজ্যের কোন না কোন স্থানে পুলিশের হাতে আটক হচ্ছে কোটি কোটি টাকার নেশা সামগ্রী। পুলিশ এবং বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে বহু মাদক সামগ্রী।এমনই অভিযোগ উঠছে রাজ্যের প্রতিটি শুভ বুদ্ধি মহলে।