আগরতলা: আকাশে সাদা মেঘের ভেলার ঠিক দেখা মিলছে না। মাঝে মাঝেই ভ্রুকুটি দেখাচ্ছে বৃষ্টি। শিউলি কিংবা পদ্মেরাও দেখা প্রায় নেই বললেই চলে। এরই মাঝে নৌকায় চেপে আসছেন মা।
তারই প্রস্তুতি চলছে দিকে দিকে। এর বাইরে নয় ত্রিপুরা রাজ্যও (tripura)। বাঙালির (bangali) প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা (durga puja) ঘিরে রাজ্যজুড়ে (tripura) এখন সাজো সাজো রব। গত দু’বছর করোনার কারণে আড়ম্বরহীন দুর্গাপূজা (durga puja) কাটানোর পর চলতি বছর ক্লাব কিংবা সংস্থাগুলোতে আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
লাখোয়ারি বাজেটের পুজোর (durga puja) প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। বিভিন্ন থিম নিয়ে দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে প্রতিটি ক্লাবই প্রস্তুতি নিচ্ছে নিজেদের সেরাটা উপহার দিতে।
চলতি বছর রাজধানী আগরতলার (agartala) মঠ চৌমুহনী এলাকার ফ্লাওয়ার্স ক্লাবের থিম রাজস্থানের (Rajasthan) পদ্মাবতীর (padmavati) রাজপ্রাসাদ। পঞ্চমীর দিনে পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
থাকবেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা বিজেপি দলের সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যী। এদিকে ছোট ছোট ক্লাবগুলিকে উৎসাহিত করতে ফ্লাওয়ার্স ক্লাবের পক্ষ কম বাজেটের পুজোগুলোর মধ্য থেকে মোট দশটি ক্লাবকে পুরস্কৃত করা হবে।
১০টি বিভাগে মোট দশটি ক্লাবকে বেছে নিয়ে প্রথম পুরস্কারে ভূষিত করা হবে সপ্তমীর (Durga puja) দিনে। পুজোর বাজেট ধরা হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা। জানালেন ফ্লাওয়ার্স ক্লাবের সম্পাদক গৌতম বণিক।
তিনি বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও গরমে হাঁসফাঁস করছে গোটা রাজ্য (tripura)। শরতের সেই আমেজ না থাকলেও দোরগোড়ায় বাঙালির (bangali) প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা (durga puja)। আর আসন্ন শারদোৎসবের (durga puja) আনন্দে গা ভাসাতে প্রস্তুত আট থেকে আশি।