সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে অপমানজনক পোস্ট দিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বিজেপি কর্মীকে আদালত জামিন দিয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া কর্মীর নাম বিশাল সিং। তিনি এম বি বি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্ৰ।
ছাত্র-কর্মী বিশালের পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ার পর নজরে আসে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের। এরপর সাবরুম পুলিশ যুবকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে সাবরুমের নিজস্ব বাড়ি থেকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখে গ্রেফতার করে বিশালকে।
তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪, ৫০৪, ৫০০, ৫০৬ এবং ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল।
১৭ সেপ্টেম্বর পুলিশের সাইবার সেলের একটি দল বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধানের জন্যে সাবরুমে যান। এবং পুলিশের পক্ষ থেকে বিশালকে সাবরুম আদালতে হাজির করানো হয়। সেদিনই তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ত্রিপুরার কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক। এক সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, বিজেপি সরকার স্বৈরতান্ত্রিক কাজ-কর্ম চালাচ্ছে। তিনি দাবী জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাসে সরকারের সমালোচনা করার জন্যেই প্রায় ৪০০ জনকে আটক করা হয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা হারিয়ে যাচ্ছে দেশ থেকে। এমন ঘটনা পূর্বে কখনো দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার এই ঘটনাই প্রথম নয়। কয়েকদিন আগে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকৃত ছবি পোস্ট করায় এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীর নাম প্রিয়াঙ্কা শর্মা।
সে সময় কিন্তু এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে অসমের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তোপ দেগেছিলেন মমতাকে।
বাংলায় “জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি” তৈরি হয়েছে বলে ট্যুইটে তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাক স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। বিজেপির হাওড়ার এক্সিকিউটিভ মেম্বার প্রিয়াঙ্কা শর্মাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মিম পোস্ট করার জন্য”।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কথার রেশ ধরে তাহলে বলা যায়, ত্রিপুরাতেও বাংলার মতো একই পরিস্থিতি চলছে। সেখানেও বাক স্বাধীনতা বলে কিছুই নেই।
কিন্তু এই ঘটনায় অসমের মন্ত্রীর মুখ থেকে কোন টু-শব্দও শোনা যায়নি।
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, পরের অপরাধের বেলায় এত হম্বিতম্বি। কিন্তু নিজের দলের মানুষের বেলায়ও তো তা সমান অপরাধ! এবার চুপ কেন হিমন্ত?