বাংলাদেশের (১৯৭১) মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার অবদানের কথা বিশ্ববাসীর অজানা নয়। রণাঙ্গনে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছিলেন হেমদারঞ্জন ত্রিপুরা, নীলোৎপল ত্রিপুরা প্রমুখ বীর যোদ্ধারা।
মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার অংশগ্রহণ বিষয়ে নীলোৎপল ত্রিপুরা বলেছিলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের দক্ষিণ–পূর্ব অঞ্চলের বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত তদানিন্তন রামগড় মহকুমার (বর্তমান খাগড়াছড়ি) সর্বস্তরের ত্রিপুরা–রা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন সক্রিয়ভাবে।
রবিবার এই কথাই জানিয়ে ফের ভারত তথা ত্রিপুরার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মিলনায়তনে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনদিন ব্যাপী ‘প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব, আগরতলা’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার মানুষ শুধু সেই রাজ্যের নয়, সমগ্র বাংলাদেশবাসীদের জন্য মনের দুয়ার খুলে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার লোকসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ। আর সেই রাজ্যে বাংলাদেশি শরণার্থীর সংখ্যাও ছিল ১৫ লাখ। বাংলাদেশ তাই সমগ্র ভারতের সাথে ত্রিপুরার অবদানের কথাও চিরদিন স্মরণ করবে।”
চলচ্চিত্র অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর, সমাপ্তি ঘটবে আগামিকাল ১৭ সেপ্টেম্বর।
উৎসবে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “রাজনৈতিক সীমানায় বিভক্ত হলেও বাংলাদেশ ও আগরতলার মানুষ একই নদীর অববাহিকায় বেড়ে ওঠা, একই পাখির কলতানে মুগ্ধ। দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বও তাই সীমানা ছাড়িয়ে।”
প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে এদিন সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার কীরিটি চাকমা, ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষি, পর্যটন ও পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বহু ক্ষেত্রে অবদান রাখা ১৩ জন ভারতীয়র হাতে সম্মাননা তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ।