অবশেষে ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আশ্রিত ১২ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল বিজিবি।
আটদিন পর দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা নাগাদ বাংলাদেশের কক্সবাজারে কুতুপ্লাউং শরণার্থী শিবিরে ওই রোহিঙ্গারা ফিরে গেছেন।
প্রসঙ্গত, বিজিবি-র টালবাহানায় ১২ রোহিঙ্গাকে আটদিন ধরে জিরো পয়েন্টে থাকতে হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার অধীন পুটিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন ১২ জন রোহিঙ্গা।
সীমান্ত লাগোয়া গৌরাঙ্গলা গ্রামে তাদের বিএসএফ ও বিজিবি জওয়ানরা আটক করেন তাদের।
তারা গত ১৫ জুলাই বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত কুতুপ্লাউং শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।
তাদের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ৫ জন মহিলা এবং ৫ জন শিশু ছিল।
ওইদিন তারা বাংলাদেশের কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের গৌরাঙ্গলা সীমান্তের ২০৫৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন।
বিএসএফ জানিয়েছে, তাদের কাছে মায়ানমারের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র এবং বাংলাদেশ শিবিরের নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু বিজিবি তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে রাজি ছিল না। তাই মানবিকতার খাতিরে তাদের জিরো পয়েন্টে জনৈক সুমন মিয়াঁর বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। ওই ১২ জন রোহিঙ্গার কাছে সমস্ত কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বিজিবি-র টালাবাহানায় আটদিন ধরে তারা জিরো পয়েন্টে আশ্রিত ছিলেন।
বিএসএফ-এর ত্রিপুরা ফ্রন্ট্রিয়ারের টুআইসি অরুণ কুমার বার্মা জানিয়েছেন, গত ১৭ জুলাই থেকে একাধিকবার বিজিবি-র সাথে বিএসএফ-এর পতাকা বৈঠক হয়েছে। এমনকি, ওই রোহিঙ্গাদের সমস্ত কাগজপত্র বৈধ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও বিজিবি তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল না।
তিনি জানান, বিজিবি জানিয়েছিল, ওই ১২ জন রোহিঙ্গার সমস্ত কাজগপত্র যাচাই করা হয়েছে। তাদের সমস্ত কাগজপত্র বৈধ পাওয়া গিয়েছে। তবে দুপুরে ফের বিএসএফ-বিজিবি শীর্ষ পদাধিকারিরা পতাকা বৈঠকে মিলিত হন।
ওই বৈঠকেই স্থির হয়েছে, বিজিবি ১২ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের শিবিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে, জানান অরুণ কুমার বার্মা। সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা নাগাদ রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের শিবিরে ফিরে যান, বলেন তিনি।