নয়াদিল্লিঃ দেশ জুড়ে ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) ক্ৰমশ বেড়েই চলেছে। এর পেছনে টিভি চ্যানেলগুলির ভূমিকার নিন্দা করেছে শীর্ষ আদালত। বহু ক্ষেত্ৰে সঞ্চালকরাই টিআরপি বাড়াতে সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। শুক্ৰবার এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে সুপ্ৰিম কোর্ট।
সুপ্ৰিম কোর্টের (Supreme Court) বক্তব্য – দেশে একটি মুক্ত এবং ভারসাম্যপূর্ণ সংবাদপত্ৰ দরকার। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ- সমস্ত কিছু চালিত হচ্ছে টিআরপি দিয়ে। টিভি চ্যানেলগুলি একে অপরের সঙ্গে প্ৰতিযোগিতা করছে। সমাজে বিভাজন তৈরি করছে।
বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিভি নাগরত্নের বেঞ্চ বিস্ময় প্ৰকাশ করে জানিয়েছে- সঞ্চলকরা নিজেরাই ঘৃণা ভাষণ ছড়ানোর অন্যতম অংশ হয়ে উঠছেন। দেশ জুড়ে ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) ছড়ানো ঠেকাতে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বহু পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্ৰিম কোর্টে (Supreme Court) । সেই মামলাগুলোরই শুনানি ছিল এদিন। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা বলেছেন- ‘‘ঘৃণাভাষণ হয়ে উঠেছে দেশ জুড়ে ভয়ংকর বিপদের কারণ। এটা বন্ধ হতেই হবে।’’
উদাহরণ হিসেবে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বৃদ্ধার গায়ে প্ৰস্ৰাব ঘটনা করাথ উল্লেখ করে বলা হয়- এই ঘটনায় অভিযুক্তের এখনও বিচার প্ৰক্ৰিয়া চলছে। এই পরিস্থিতিতে সংবাদ মাধ্যমে অভিযুক্তের নাম প্ৰকাশ করে দিয়েছে। তাঁকে অপমান করা হয়েছে। সবারই আত্মসম্মান রয়েছে সেকথা সংবাদমাধ্যমকে ভুলে গেলে চলবে না। এর সমাধানের উপায় হিসেবে বিচারপতিরা জানিয়েছেন- সঞ্চালকদের এই আপত্তিকর ভূমিকা ঠেকাতে জরিমানার পাশাপাশ তাঁদের সচেতন থাকতে হবে, যা সম্প্ৰচারিত হচ্ছে তার দায়ও তাঁদেরই। সুপ্ৰিম কোর্টের (Supreme Court) মতে বাকস্বাধীনতা কিংবা মতপ্ৰকাশের স্বাধীনতার দাবির পাশাপাশি কর্তব্য সম্পর্কেও সচেতনা থাকতে হবে।