সুশান্তের দেহ পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক টেস্টে! প্রাথমিক রিপোর্ট আত্মহত্যার!

সুশান্ত সিং রাজপুত! এতো উচ্ছ্বল একটা ছেলে, কেরিয়ারে, অর্থে যার সাফল্য, মন-মেজাজে যিনি ফুরফুরে থাকতেন তিনি হঠাত জীবনের এমন চরম সিদ্ধান্তটা কেন বেছে নিলেন? হ্যাঁ, তিনি অবসাদের রোগি ছিলেন বটে। এই অবসাদ যেকোন মানুষের যেকোন সময় আসতে পারে বিভিন্ন কারণে, অথবা সারিবদ্ধভাবে এক-দুই করে কখনো নির্দিষ্ট কারণও বলা যায় না যে অবসাদ কেন হচ্ছে।

সুশান্ত অবসাদগ্রস্ত হওয়ার জন্যে ওষুধ খাচ্ছিলেন। ঘর থেকে পাওয়া গেছে সে ওষুধ! যিনি পর্দায় জীবনে হেরে না যাওয়ার গল্প শোনাতেন, তিনিই শেষ পর্যন্ত এই পথটা বেছে নিতে বাধ্য হলেন কেন? তিনি কী নিজস্ব জীবনের বেদনাগুলো কাউকে মন খুলে জানানোর মতো মানুষ পাচ্ছিলেন না? কোন বন্ধুই তাঁর পাশে এসে দাঁড়ালেন না? কেন এমন অমানবিক হয়ে যাচ্ছে সমাজ? কেন পাশের মানুষটি ধুকছে দেখেও ভালোবাসার মনটা বাড়িয়ে দেয় না? চারদিক অমানবিকতার আগ্রাসনে বিধ্বস্ত!

রবিবার মর্মান্তিক এই ঘটনায় স্তম্ভিত, বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছে বলিউড-টলিউড জগৎ থেকে শুরু করে ক্রীড়া জগৎ, সাধারণ মানুষ। শরীরে শিহরণ দিয়ে গেছে এই মৃত্যু! ঘর থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত মৃতদেহ!

রবিবার মধ্যরাতেই শেষ হয়েছে সুশান্তের ময়নাতদন্তের কাজ। প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে পুলিশ জানাচ্ছে, এটি আত্মহত্যাই। তাঁর শরীর থেকে কোনপ্রকার বিষ বা ড্রাগস পাওয়া যায়নি। রাজপুতের পরিবারের লোকজন দাবি জানাচ্ছেন, সুশান্ত কোনভাবেই আত্মহত্যা করতে পারেন না। প্রাণবন্ত এই ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু নমুনা কালিনা ফরেন্সিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, আজই অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে মুম্বাইতে। পাটনা থেকে আজ মুম্বাই রওনা হয়েছেন সুশান্তের বাবা-বোন সহ পরিবারের লোকজনেরা। ভয়ানক এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে চারদিকে। আমরা হারালাম একজন সতেজ-আগামি উজ্জ্বল একটি মানুষকে। যা অকল্পনীয়!