নয়াদিল্লিঃ গুজরাতের গণধর্ষিতা বিলকিস বানো (Bilkis Bano Case) মামলায় শুনানি ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ায় মঙ্গলবার প্ৰাথমিক শুনানিতে ক্ষোভ প্ৰকাশ করে Supreme Court। আগামী ২৯ নভেম্বর এই মামলায় ১১ অভিযুক্তের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে শুনানি হবে।
গুজরাত সরকারের সুপারিশে মুক্তি পেয়েছে Bilkis Bano Rape Case যাবজ্জীবন সাজাপ্ৰাপ্তরা। পুলিশ তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক সহ একাধিক পক্ষের আপত্তি উড়িয়ে গিজরাত দাঙ্গায় অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর ৩ বছরের শিশু কন্যা সহ পরিবারের ১৪জনকে হত্যায় দোষী ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ যেভাবে কমিয়ে মুক্তির অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰক, তাতে অবাক হয়েছিল গোটা দেশ। এই ঘটনায় সুপ্ৰিম কোর্টে হলফনামা দেয় বিজেপির সরকার। হলফ নামায় বলা হয় অপরাধীদের কারাবাসের মেয়াদ ১৪ বছরের পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি ভালো ব্যবহারের জন্য জেল থেকে আগাম মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ১৫ অগাস্ট সকালে লাল কেল্লা থেকে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী যখন মহিলাদের সুরক্ষা ক্ষমতায়নের প্ৰতিশ্ৰুতি দিচ্ছেন কুখ্যাত ওই অপরাধীদের সেই দিনই মুক্তি ঘোষণা করেন গুজরাত সরকার। এক্ষেত্ৰে ১১ জুলাই গুজরাতকে অনুমোদন দিয়েছিল অমিত শাহর অধীনস্ত স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰক। মুক্তির বিরোধীতা করে সুপ্ৰিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিপিএম-এর সুভাষিনি আলি, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্ৰ সাংবাদিক রেবতি লাল সমেত আরও অনেকে। এই মামলার প্ৰেক্ষিতে ২৫ অগস্ট গুজরাত সরকারকে বক্তব্য জানানোর নিৰ্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। গুজরাত সরকার জানায় যে আবেদন করা হয়েছে তার কোনও আইনী ভিত্তি বা এক্তিয়ার আবেদনকারীদের নেই। মঙ্গলবার এই নিয়ে সরব হয়েছেন Congressএর নেতা Rahul Gandhi।
Rahul টুইট করে অভিযোগ করেন, দেশের নারীদের সঙ্গে ছলনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কীসের ছলনা, তার ব্যাখ্যা দিয়ে রাহুল বলেন, “ওঁর কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে উনি মহিলা নিরাপত্তা এবং তাঁদের সম্মানের কথা বলেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী কার্যক্ষেত্রে ধর্ষণকারীদের পক্ষ নেন, তাঁদের সমর্থন করেন।’’ বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের যে মোদীর সরকারই আগাম মুক্তির অনুমতি দিয়েছিল, প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতিই। তারই প্রসঙ্গ টেনে মোদীর সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
এ সম্পর্কে Bilkis Bano বলেছেন- তিনি ভিতসন্ত্ৰস্ত। আতঙ্কমুক্ত পরিবেশে বাঁচার অধিকার সকলেরই রয়েছে।