শিলংঃ মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনের (Meghalaya Assembly Poll) লড়াইয়ে প্ৰচার চালাতে পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও(Congress)। মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে সেরাজ্যের শিক্ষকদের ‘মর্যাদা’ পুনরুদ্ধার এবং ষষ্ঠ তফসিল জাতিদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলার সময়, INC মুখপাত্র শামা মোহাম্মদ, AICC মিডিয়া সমন্বয়কারী ববিতা শর্মা এবং সাধারণ সম্পাদক MPCC সঞ্জয় দাস অভিযোগ করেন যে সেরাজ্যের সরকার শিক্ষকদের অবহেলা করছে। কংগ্ৰস নেতৃত্বের দাবি, ২০২১ সালের কর্মক্ষমতা গ্রেডিং সূচক অনুযায়ী মেঘালয় শিক্ষার ক্ষেত্রে ‘সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স’ রাজ্যের ট্যাগ রয়েছে।
জনজাতি ধর্ম সংস্কৃতি সুরক্ষা মঞ্চ (RSS সমর্থিত একটি সংগঠন) তফশিল অপসারণের দাবি করেছে তার উদ্ধৃতি টেনে কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপি মেঘালে খ্রিস্টান, এসটি এবং সেরাজ্যের জনগণের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
তারা সারা দেশে অভিন্ন সিভিল কোডের জন্য BJPর দাবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে, বলেছে যে এটি তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানসিকতাকে প্ৰতিফলিত করে। যা মেঘালয় এবং অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যের উপজাতিদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের জন্য হুমকিস্বরূপ।
কংগ্রেস (Congress) সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা (Media freedom) বজায় রাখতে এবং সাংবাদিকদের পেনশন (journalists pensions) ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কংগ্ৰেসের বক্তব্য, তাদের দল জনগণের চাহিদা পূরণ এবং তাদের অধিকারের সম্মান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উল্লেখ্য, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এক দফায় মেঘালয়ের (Meghalaya) ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ২ মার্চ। ভোটের আগে দলবদল ও যোগদানের পালা শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই পাহাড়ি রাজ্যে। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে মেঘালয়ের (Meghalaya) ২১টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সমেত ১২ জন বিধায়ক ২০২১ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন।