নয়াদিল্লিঃ খুব শীঘ্ৰই দেশে স্থাপন হতে চলেছে প্রথম বন বিশ্ববিদ্যালয় (Forest University)। গত মঙ্গলবার তেলেঙ্গানা বিধানসভায় পাস হয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ ফরেস্ট্রি অ্যাক্ট ২০২২।
গোটা বিশ্বে বন বিশ্ববিদ্যালয় (Forest University) রয়েছে শুধুমাত্র রাশিয়া ও চিনে। সেদিক থেকে দেখলে ভারতের এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে বিশ্বে তৃতীয়।
হায়দ্রাবাদের ফরেস্ট কলেজ অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এফসিআরআই) সম্প্রসারণ করে পুরোদস্তুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে Telangana সরকার। এরপরেই এখানে ১৮ টি প্রোগ্রাম চালু হবে, যার মধ্যে থাকবে পিএইচডি (PHD), ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্স।
আর্বান ফরেস্ট্রি, নার্সারি ম্যানেজমেন্ট, অ্যাগ্রো-ফরেস্ট্রি, উপজাতি জীবিকা উন্নয়ন, বন কেন্দ্রিক শিল্প, জলবায়ুভিত্তিক বনসৃজন ও ফরেস্ট পার্ক ম্যানেজমেন্ট-এর মতো বিষয়গুলি পড়ানো হবে। এতে নতু প্ৰজন্মের মধ্যে প্ৰকৃতি এবং পরিবেশ সচেতনতা বাড়বে এবং নতুন প্ৰজন্ম পরিবেশের প্ৰতি আরও যত্নশীল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বমানের শিক্ষা পৌঁছে দিতে, এই ধরণের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলবে বিশ্ববিদ্যালয়। কৃষকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জোর দেওয়া হবে গবেষণাতেও। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হওয়ার পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৭২৬। বর্তমানে এফসিআরআইতে রয়েছে ৩৬৬ টি আসন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পর কর্মী সংখ্যাও ১১৮ থেকে বেড়ে হবে ২১০। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন Telenganaর মুখ্যমন্ত্ৰী।
এই শিক্ষাপ্ৰচিষ্ঠানের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এমন পেশাদার তৈরি করতে চায় সরকার, যাঁরা বন সম্পদের সংরক্ষণ ও স্থিতিশীল উন্নয়নে ভূমিকা নেবেন। এর পাশাপাশি শিল্পজগত ও জনগণের চাহিদা মেটাতে কৃষির নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে পারবেন। এতে প্রাকৃতিক বনসম্পদের ওপর চাপ কমবে, কৃষকদের জীবনযাত্রার মান সার্বিকভাবে উন্নয়ন হবে ।
নতুন প্ৰজন্ম এমন নানা অ্যাগ্রো-ফরেস্ট্রি মডেল নিয়ে কাজ করবে, যা দেশের বৈচিত্রপূর্ণ বনাঞ্চলের উন্নয়নে কাজে লাগবে।