নয়াদিল্লিঃ Twitterএ একাংশ উচ্চ পদস্থ কর্মীদের তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন জলাঞ্জলি দিতে হবে। অফিসের বাইরে জীবন নিয়ে না ভেবে আপাতত কাজই হবে তাঁদের একমাত্র ধ্যান জ্ঞান। আর সেই কারণেই Americaর সান ফ্রান্সিস্কোয় টুইটার (twitter) হেডকোয়ার্টারে একাধিক অফিস রুমকে রাতারাতি বেডরুমে পরিণত করে ফেলা হয়েছে।
এলন মাস্ক (Elon Musk) নাকি ঠিক করেছেন, twitterএ নতুন প্রজেক্টে কাজ করছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন কর্মীকে আপাতত শুধুমাত্র কাজে মন দিতে হবে। অফিসের বাইরে জীবন নিয়ে না ভেবে আপাতত কাজ হবে তাঁদের একমাত্র ধ্যান জ্ঞান। কাজ শেষে ঘুমোতে হবে অফিসে। যদিও এই বিষয়ে মাস্কের তরফে অফিশিয়ালি কিছু জানানো হয়নি কর্মীদের।
সপ্তাহ শেষের ছুটি কাটিয়ে সোমবার অফিসে ফিরেই চমকে গেলেন সান ফ্রান্সিস্কোয় টুইটার (twitter) হেডকোয়ার্টারের কর্মীরা। রাতারাতি বেডরুম (bedroom) পরিণত হয়েছে twitter অফিসের বেশ কয়েকটি ঘর। কুইনসাইজ বিছানা-বালিশ তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে উজ্জ্বল কমলা কার্পেট, জানলায় ফ্যান্সি পর্দা, চেয়ার, টেবিল ল্যাম্প এবং একটি বেডসাইড টেবিল।
এবার থেকে সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জীবন ছেড়ে Officeএই রাত কাটানো ‘স্বাভাবিক’ ব্যাপার হয়ে যেতে চলেছে, এমনটাই জানা গেছে।
কর্মসংস্কৃতি নিয়ে মাস্কের এযাবৎ কার্যকলাপে অন্য কিছু ভাবতে পারছেন না কর্মীরা। মাস্ক নিজেও নাকি ক্যালিফোর্নিয়ায় টেসলার কনফারেন্স রুমেই রাত কাটিয়েছেন। পরে যদিও টেসলার ক্যাম্পাসের মধ্যেই ছোট্ট একটি কেবিন ছিল তাঁর, যার দাম ছিল ৫০ হাজার ডলার।
প্রসঙ্গত, টুইটারের মালিকানা মাস্কের হাতে আসার পরই বিশ্বজুড়ে বিপুল পরিমাণ কর্মী ছাঁটাই করা হয় twitterএ। মাস্কের ঠিক করে দেওয়া ‘ডেডলাইন’ মিট করতে কাজের চাপে হিমসিম খাওয়ার মতো অবস্থা সংস্থার কর্মীদের। সংস্থার এক মহিলা কর্মীর অফিসের ভিতরেই মেঝেতে শুয়ে ঘুমানোর ছবি ভাইরাল হয়েছিল Social Mediaয়। স্পষ্টতই, কাজের ঠেলায় বাড়ি গিয়ে ঘুমানোরও সুযোগ পাচ্ছিলেন না কর্মীরা। ভয়ঙ্কর এই কর্মসংস্কৃতি নিয়ে মাস্ককে তুলোধনা করেছিলেন নেটিজেনরা।