কলকাতাঃ চোখ রাঙাচ্ছে Clclone Sitrang। বঙ্গোপসারে ক্ৰমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ। কালীপুজোর উৎসবের পরিবেশ নষ্ট করে দিতে পারে Sitrang। বৃষ্টি চলবে মঙ্গলবারও। ১২ ঘন্টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে Sitrang। সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা। মাইকিং করে ঝড়ের সতর্কতা। মঙ্গলবার থেকে আছড়ে পড়বে বাংলাদেশের উপকূলে। তবে কাল সকাল থেকে শুরু হবে বৃষ্টি। ঝড়ের প্ৰভাব পড়বে অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম,ত্ৰিপুরায়।
মঙ্গলবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ৬০ কিলোমিটার এবং সোমবার ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার প্রভাব পড়তে পারে৷
ক্ৰমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় Sitrang। অতিগামী নিম্নচাপ বঙ্গপোসাগের উপর অবস্থান করছে। যা ক্ৰমশ উত্তর পশ্চিমদিকে সরে আজ মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর তা ঘুরে এগোবে উত্তর-পূর্ব দিকে, ২৫ অক্টোবর ঘুর্ণিঝড়টি Bangladeshএর বরিশালের দিকে আছড়ে পড়বে। তার জেরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে Bangladeshএর উপকূলের জেলাগুলোতে।
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলোতে, হালকা থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলোতে। রবিবার রাতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে West Bengalএর দুই ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। ২৪ তারিখ অতিভারী বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগণা ও দুই মেদিনীপুরে। ২৫ তারিখ অতিভারী বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগণা ও নদীয়ায়। দক্ষিণবঙ্গের হাওয়ার গতিবেগ সবথেকে বেশি থাকবে আগামিকাল। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সবথেকে বেশি প্ৰভাব পড়বে সুন্দরবনে। একদিকে ঘূর্ণিঝড় ও অন্যদিকে অমাবস্যার কোটাল। জোড়াফলায় জলোচ্ছাস ভোগাবে উপকূলবর্তীর জেলাগুলিকে। জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফলে বারতি সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেখানে। নীচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের বের করে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করার কাজ শুরু করা হয়ে গিয়েছে।
Kolkata ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে দীঘা সমেত অন্যান্য জেলাগুলিতে। ফ্ৰেজারগঞ্জে নামানো হয়েছে সিভিল ডিভেন্সের কর্মীদের। খারি এলাকাগুলোতে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী থেকে স্পীড বোটে করে চলছে নজরদারি চালানো হচ্ছে। মৎসজীবীদের ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সমুদ্ৰে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কাকদ্বীপ, পাথরপ্ৰতিমা সমেত একাধিক এলাকায় চলছে মাইকিং। Touristদের বলা হচ্ছে সমুদ্ৰে বেশি দূরে যেতে না, ভাটার টান আছে। যে সব পর্যটকরা সমুদ্ৰে স্নান করতে চাইছেন তাদের একহাটু জলে নেমে স্নান করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। ২৪ ঘন্টা চালু রাখা হয়েছে কনট্ৰোল রুম। তবে দীঘায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থিকথিকে ভির দেখা গেছে সমুদ্ৰ সৈকতে। প্ৰশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে মানুষ নামলেন সমুদ্ৰ স্নানে। কালীপুজোর ছুটি কাটাতে দীঘায় ভিড় করেছেন হাজার হাজার পর্যটক। হলদিয়াতেও চলছে মাইকিং। গভীর সমুদ্ৰ থেকে মাইকিং করে মৎসজীবীদের ফিরে আসার কথা জানানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ট্ৰলার ফিরে এসেছে উপকূলে। বুধবার থেকে শক্তি হারাতে পারে ঘুর্ণিঝড়।