গুয়াহাটিঃ সুখী দাম্পত্যে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে ছোট্ট মাছি। মাছির জন্য বিয়ে হতে হতেও হয়নি। কিংবা বিয়ে হলেও রেগে বউরা চলে যাচ্ছেন বাপের বাড়ি। আর সব দেখে শুনে অবিবাহিতরা তো বেজায় চিন্তায়। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)র হরদোই জেলার অহিরোরি ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের পুরুষদের বর্তমানে সিঙ্গেল অবস্থা।
সম্প্রতি বাধিয়ান পুরা গ্রাম থেকে অন্তত ছয় জন স্ত্রী স্বামীর ঘর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ একটিই, মাছির উপদ্রব। এতটাই তিতিবিরক্ত তাঁরা যে, স্বামী অনুরোধ করলেও তাঁরা আর ফিরতে নারাজ। এমনকী কেউ কেউ বলেছেন, যদি সম্পর্ক ভাঙে, তা-ও সই! কিন্তু তাঁরা আর ওই মাছির জ্বালা সহ্য করতে পারবেন না। আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামেরও অবস্থা একই। চারদিকে মাছি(Flies)র উপদ্রব (flies disturbance)র কথা এতটাই ছড়িয়েছে যে, দূর দূরান্ত থেকেও চট করে কেউ বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে আসে না। আবার যদি বা আসে, তা-ও কোনও না কোনও ভাবে ভেস্তে যায়। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, একবার এক বিয়ের দেখাশোনায়, অতিথিদের মিষ্টি দেওয়া মাত্র এমন ভাবে মাছি ভনভনিয়ে এল যে, দেখেশুনে বিয়ে বাতিল করে দিয়ে চলে গেলেন তাঁরা। এমনকী বিয়ে চলাকালীনও মাছির উপদ্রবে বিয়ে ভেঙেছে বলে শোনা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে চালু হয়েছিল একটি পোলট্রি ফার্ম (Poultry Firm)। আর তারপরই গ্রামে বাড়তে থাকে মাছির সংখ্যা। শেষ ৩ বছরে তা অসহ্য জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। হাজার হাজার মাছি(Flies)র জ্বালায় যে লোকের ঘর-সংসার ভেঙে যাচ্ছে, সে-কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রামপ্রধান।
গ্রামের নারী পুরুষরা এর প্ৰতিবাদ করেছেন। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্ৰ বের হয়নি। এ বছর সেই গ্রামে আর কোনও বিয়েই হয়নি। যদিও মাছি সংক্রান্ত অসুখ-বিসুখের খবর নেই। তবে মাছি (Fly) যে এ গ্রামে একই সঙ্গে আপদ আর বিপদ হয়ে উঠেছে, সে কথা গ্রামবাসীরা খবু ভালো করেই টের পাচ্ছেন।