গুয়াহাটিঃ আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা মাত্ৰ। রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় কাতারের লুসাইল স্টোডিয়ামে (Lusail Stadium) মুখোমুখি হতে চলেছে আর্জেন্টিনা(Argentina) বনাম ফ্ৰান্স (France)। একদিকে লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্ৰতীক্ষিত স্বপ্ন সত্যি করতে মাঠে নামবেন। অন্যদিকে এমবাপে(Mbappe)র সামনে মেসি(Messi)র স্বপ্ন গুঁড়িয়ে কিংবদন্তি হওয়ার সুযোগ।
বিশ্বকাপে(World Cup) অঘটন এবং চমক দেখা যাবে এটা সকলেই মোটামুটি জানেন। আজ ফুটবলের ময়দানে সমানে সমানে লড়াই উপভোগ করতে মুখিয়ে রয়েছে ভারত সমেত গোটা বিশ্ব। লিওনেল মেসি (Lionel Messi) এর আগে ৪টি বিশ্বকাপ (World Cup) খেলেছেন কিন্তু কাপ জেতার সুযোগ হয়নি তাঁর। ক্লাব ফুটবলে সফল হলেও এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছেন Messi। অন্যদিকে ফ্ৰান্স(France)এর এমবাপে (Mbappe) তরুণ। প্ৰথম বিশ্বকাপে(World Cup) নেমে ট্ৰফি জিতেছেন। বর্তমানে তিনি দুৰ্দান্ত একটা ফর্মে রয়েছেন।
মেসি(Messi) এবং এমবাপে(Mbappe) দুজনেই ৫টি করে গোল করেছেন। এখনও পর্যন্ত গোল লক্ষ্য করে দুজনেই ১০টি করে শট মেরেছেন। মেসি (Messi) গোল নিজে করেছেন, অন্যকে দিয়েও গোল করিয়েছেন। অন্যদিকে এমবাপে (Mbappe) সবথেকে বেশি গোল করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন।
দুজনেই বিশ্বকাপ কেরিয়ারের দ্বিতীয় ফাইনাল খেলতে নামছেন। মেসি একটি ফাইনালে হেরে দ্বিতীয় ফাইনালে খেলতে নামছেন। আর এমবাপে ময়দানে নামছে একটি ফাইনালে জিতে। দুজনের বয়সের ফারাক ১২ বছরের। মেসির বয়স ৩৫ এবং তরুণ তুর্কি এমবাপের বয়স মাত্ৰ ২৩।
২০০৬ সালে প্ৰথমবার বিশ্বকাপে খেলতে নামেন মেসি। তারপর ১৬ বছর মেসি ফুটবল জগতে দুৰ্দান্ত খেলেছেন। ২০১০ সালের বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্ৰতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন মেসি। সেবার আর্জেন্টিনার দায়িত্বে ছিলেন দিয়েগো ম্যারাদোনা। তাঁর দলের প্ৰধান ফুটবলার ছিলেন মেসি। ২০১৪ সালে ফাইনালে জার্মানির কাছে অতিরিক্ত সময়ে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। ২০১৮ সালেও শেষ ১৬র লড়াইয়ে ফ্ৰান্সের এমবাপের ঝড়ে হেরে গিয়েছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণ। সেদিক থেকে দেখতে গেলে গত বিশ্বকাপের প্ৰিঋকোয়ার্টার ফাইনালের হারের প্ৰতিশোধ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup)এর ফাইনালে। এখন শেষ হাসি কে হাসবে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।