নয়াদিল্লিঃ Gratest show on earth বিশ্বকাপ ফুটবলের চোখ ধাঁধানো আয়োজন প্ৰস্তুতি পর্ব সম্পন্ন করেছে কাতার। রবিবার থেকে শুরু হতে চলেছে একমাস ব্যাপী World Cup Football উৎসব। তবে যাদের পরিশ্ৰমের বিনিময়ে সফলতা পেতে চলেছে বিশ্বকাপ সেই পরিযায়ী শ্ৰমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্ৰান্ত থেকে অর্থ উপার্জনের আশায় Qatar পাড়ি জমিয়েছে পরিযায়ী শ্ৰমিকরা। তারা অর্থ উপার্জনের সুযোগ তো পেয়েছেন কিন্তু জীবনে বেঁচে থাকতে ন্যুনতম সুবিধা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা খাওয়া যত্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। প্ৰখর রোদে অতিরিক্ত পরিশ্ৰমের কারণে অনেকেই প্ৰাণ হারিয়েছেন। কেউ পঙ্গু হয়ে নিজের দেশে গ্ৰামের বাড়িতে ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু অর্থাভাবে জীবন বিষন্ন হয়ে পড়েছে।
Qatar World Cup উপভোগ করতে বিদেশী ফুটবল প্ৰেমীদের স্বাগত জানাতে বিমান বন্দর, মেট্ৰো ব্যবস্থা, অন্তত ১০০টি নতুন হোটেল গড়েছে দেশটির প্ৰশাসন। এমনকি ফাইনালে স্টেডিয়ামের চারপাশ ঘিরে একপ্ৰকার নতুন শহর নির্মাণ করেছে দেশটি। স্থাপনা নির্মাণে অর্থ খরচে কোনও কার্পণ্য করেনি পট্ৰো ডলারে সমৃদ্ধ দেশ Qatar। শুধু স্টেডিয়াম তৈরিতেই ৩০হাজারের বেশি অভিবাসী শ্ৰমিক নিয়োগ করেছে দেশটির সরকার। যাদের বেশির ভাগই ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ফিলিপিনস-এর নাগরিক।
ব্ৰিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্ৰতিবেদন অনুযায়ী World Cup আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর নির্মাণ কাজে জড়িত নেপাল, পাকিস্তান ও শ্ৰীলঙ্কার অন্তত সাড়ে ৬ হাজার শ্ৰমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই পরিসংখ্যানকে অস্বীকার করেছে Qatar। বিশ্বকাপ নিয়ে কাতারের দেওয়া মৃত্যু হিসাব বাতিল করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্ৰম সংগঠন-আইএলও (ILO) । সংস্থাটি জানিয়েছে হার্ট অ্যাটাক, শ্বাসকষ্ট জনিত বা হিট স্ট্ৰোক জনিত মৃত্যুর হিসাব করা হয়নি।
Hospital ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের তথ্য নিয়ে ILO এর হিসেবে দেশটির শুধুমাত্ৰ গত বছরই অর্ধশত প্ৰাণহানীর পাশাপাশি ৩৭ হাজারের বেশি অভিবাসী শ্ৰমিক আহত হয়েছেন। এমনকি ৫০ ডিগ্ৰি সেন্টিগ্ৰেড তাপমাত্ৰার দেশটিতে বাধ্যতামূলক শ্ৰম করার অভিযোগ এনেছে এমনেস্টই ইন্টারনেশনাল (Amnesty International) । ন্যূনতম পারিশ্ৰমিকের পাশাপাশি থাকার পরিবেশও বাসের অযোগ্য বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি। ক্ষতিপূরণ দিতে তহবিল গঠনের প্ৰস্তাবেও অস্বীকার করেছে কাতার।
পরিযায়ী শ্ৰমিক ছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গ, সমকামী ফুটবল অনুরাগীদের প্রতি সে দেশের সরকারের মনোভাব বিরূপ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে খেলার মধ্যে রাজনীতি বা অন্য মতাদর্শ নিয়ে ফুটবল খেলোয়াড়দের চিন্তা না করতে পরামর্শ দিয়েছে ফিফা। তবে ইউরোপিয় অন্তত ১০টি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে মানবাধিকার প্ৰশ্ন সব ক্ষেত্ৰেই থাকবে।