গুয়াহাটিঃ এবারের বিশ্বকাপে সব অপ্ৰাত্যাশিত ঘটনা হয়ে যাচ্ছে। Argentinaর পর এবার Germany। গতকাল সৌদি আরবের কাছে হারল বিশ্বের অন্যতম সেরা দল আর্জেন্টিনা। আর আজ অর্থাৎ বুধবার জার্মানিকে হারিয়ে আরও এক অপ্ৰত্যাশিত অঘটন ঘটিয়ে দিল এশিয়ার আরেক দল Japan। তাও আবার ভাবনা চিন্তারও অতীত! ১-০ গোলে প্ৰথম থেকে পিছিয়ে থাকা ম্যাচ ছিল। সেই জায়গা থেকে অপ্ৰত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়াল Japan। Dohaর খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে (Khalifa International Stadium) ম্যাচ জিতে নিল ২-১ গোলে। Germanyকে হারিয়ে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল Japan।
এদিন ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় প্ৰথম কর্ণার পায় Japan। তার ৩ মিনিট পরেই গোলের সুযোগ পেয়ে যায় এশিয়ার দলটি। জাপানেJ মিয়েদা গোলও করেন। কিন্তু অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায় গোলটি। এরপর ৩৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টিতে গোল করেন জার্মানির ইকে গুন্ডয়ান (Iikay Gundogan)। গোটা ম্যাচে দুই দলের কেউই এক ইঞ্চি সুযোগ হাতছাড়া করেনি। জিততে প্ৰাণপন মরিয়া ছিল দুই দলই। তবে ম্যাচের প্ৰথমার্থে দুই দলই গোল করার একাধিক সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই আক্ৰমণাত্মক থাকে জার্মানি। ম্যাচের ৭৫ মিনিটের মাথায় জাপানের হয়ে গোল করেন রিটসু ডোয়ান (Ritsu Doan)। এরপর ৮৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন তাকুমা আসানো (Takuma Asano)। ফলে জার্মানির বিরুদ্ধে জাপান এগিয়ে যায় ২-১ গোলের ব্যবধানে।
এদিন জার্মান দল ম্যাচ শুরুর আগেই দলীয় ছবি তোলার সময় প্ৰতীকী প্ৰদিবাদ দেখায়। Qatar বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই থেকেই সেখানকার সমকামী -বিদ্বেষী আইন নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে এলজিবিটি কমিউনিট Qatarএর এই আইনকে বৈষম্যমূলক দাবি করে প্ৰতিবাদ করেছে। সেই প্ৰতিবাদকেই সমর্থন জানিয়ে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ফ্ৰান্স, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড এবং ওয়েলস সিদ্ধান্ত নেয় যে তাদের অধিনায়করা বিশেষ একধরনের আর্মব্যান্ড ‘ওয়ান লাভ’ আর্ম ব্যান্ড পরে ম্যাচ খেলতে নামবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত FIFAর আপত্তি ও শাস্তির হুমকিতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে দেশগুলোর। ব্যাপারটা যে Germany ভালোভাবে নেয়নি সেটাই তারা আজ বুঝিয়ে দিয়েছে ম্যাচের আগে। দলীয় ছবি তোলার সময় জার্মান খেলোয়াড়দের সবাই মুখে হাত দিয়ে রেখেছিলেন, যার মানে হচ্ছে, তাদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, প্রতিবাদ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এখন এই প্রতীকী প্রতিবাদ FIFA কীভাবে নেয় সেটাই দেখার অপেক্ষা। সব মিলিয়ে বলা যায় এবার ফিফা World Cupএ রাজনীতি এবং খেলা দুটোই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।