গুয়াহাটিঃ রবিবার Asia Cupএ Pakistanএর বিরুদ্ধে সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ হাই-ভোল্টেজ ম্যাচেও বিরাট কোহলি হাফ সেঞ্চুরি করলেন। এমন একটা সময়ে পাকিস্তান বোলারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন তিনি, সেই সময়ে একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিল ভারত। কোহলি দলকে নির্ভরতা দেন। তবুও শেষ রক্ষা হল না। এক বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জয়ী হল পাকিস্তান।
সতেরতম ওভারের পঞ্চম বলে রিজওয়ানকে তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন হার্দিক। পরের ওভারেই আসিফ আলির ক্যাচ ফেলে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে ফেরান আর্শদীপ। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ লিগের হারের মধুর প্রতিশোধ নিল পাকিস্তান।
প্ৰথম দিকে মূলত বিরাট কোহলির জন্যই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ভারত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮১ রান। শেষমেশ কোহলি ৬০ রানে রান আউট হন।
এদিন জয়ের জন্য ১৮২ রানের লক্ষ্য একেবারেই সহজ ছিল না পাকিস্তানের সামনে। ভারত–পাকিস্তান টান টান উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত মন ভাঙল ভারতবাসীর। ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু করেছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের ওপর দাপট দেখাতে পারেননি পাকিস্তানের দুই ওপেনার। চতুর্থ ওভারেই রবি বিষ্ণোইকে আক্রমণে নিয়ে এসে চমক দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। নিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে বাবর আজমকে তুলে নেন বিষ্ণোই। ১০ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাকিস্তান অধিনায়ক। হার্দিক পান্ডিয়া, যুজবেন্দ্র চাহালের মতো অভিজ্ঞ বোলার থাকা সত্ত্বেও বিষ্ণোইকে পাওয়ার প্লে–র মধ্যে আক্রমণে নিয়ে আসাটা রোহিতের মাস্টার স্ট্রোক।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথম ওভার শেষে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ১১ রান। এই ওভারে অধিনায়ক রোহিত শর্মা একটি চার এবং একটা ছক্কা হাঁকান। অন্যদিকে কেএল রাহুল ১ রান করেন। পাকিস্তান হয়ে দ্বিতীয় ওভারে মহম্মদ হাসনেন করলেন। তিনি মোট ৯ রান দিয়েছেন। ২ ওভার শেষে টিম ইন্ডিয়ার স্কোর বিনা উইকেটে ২০ রান। রোহিত শর্মা ১৫ এবং কেএল রাহুল ৫ রান করেন। তখন কেএল রাহুলও যথেষ্ট ছন্দে ছিলেন। রাহুল নাসিমের বলে লং অফের উপর দিয়ে দুরন্ত একটা ছক্কা হাঁকান। ওভারের শেষ বলে এল আরও একটা ছক্কা। তিন ওভার শেষে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ৩৪ রান।
ভারতীয় দলের (India) শুরুটা হয়েছিল ভালো হলেও শেষ রক্ষা হল না। যে গতিতে রান তুলছিলেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল তাতে অনায়াসে ২০০ রানে পৌঁছে যেতেই পারত টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু মোক্ষম সময়ে পরপর উইকেট হারিয়ে একসময়ে ভারত চাপে পড়ে গিয়েছিল। সেই চাপ সামলে ভারত বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রান করেছে।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলের রোহিত-কোহলিরা। সুপার ফোরে রবিবাসরীয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে পারদ চড়েছিল দুবাইয়ে।