কলকাতাঃ ব্ৰাজিলিয়ান ফুটবলার (Brazilian Footballer) পেলে(Pele), তাঁর পুরো নাম এডসন আরান্টেস নাসিমেন্টো(Edson Arantes do Nascimento)। তবে তাঁকে চিনতে পেলে নামই যথেষ্ট। ফুটবল মাঠে তো বটেই, মাঠের বাইরেও তিনি চর্চিত। ব্ৰাজিলের এই কিংবদন্তি ৮২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন। তাঁর জীবন কম বর্ণময় ছিল না। তাঁকে দেখে অনুপ্ৰাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে বহু সিনেমা।
পেলের প্ৰসঙ্গ উঠে এসেছে বহু সিনেমায়। তাঁর দুই পায়ের জাদুতে মন্ত্ৰমুগ্ধ গোটা ফুটবল বিশ্ব (Whole Football World)। তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কে বেশ ভালো। পেলে ৩ বার বিয়ে করেছেন। দুই স্ত্ৰীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর, তৃতীয়বার ২০১৬ সালে বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়েন তিনি। তাঁর মোট ৭ জন সন্তান রয়েছেন।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
পেলে এবং তার প্ৰথম স্ত্ৰী রোজমেরির (Rosemeri) ৩ সন্তান রয়েছে। তাঁরা হলেন এডিনহো, কেলি ক্ৰিস্টিনা নাসিমেন্টো এবং জেনিফার নাসিমেন্টো। ব্ৰাজিলিয়ান এই কিংবদন্তি তাঁর প্ৰথম স্ত্ৰী-র সঙ্গে বিচ্ছেদের ১২ বছর পর, দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন তিনি।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
তাঁর দ্বিতীয় স্ত্ৰী ছিলেন জনপ্ৰিয় ব্ৰাজিলিয়ান গায়িকা অ্যাসিরিয়া নাসিমেন্টো(Assiria Nascimento)। ১৪ বছর পর, ২০০৮ সালে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কেও বিচ্ছেদ হয়। পেলে এবং অ্যাসিরিয়া নাসিমেন্টোর ২ যমজ সন্তান হয়। তাঁদের নাম জোশুয়া নাসিমেন্টো এবং সেলেস্তে নাসিমেন্টো।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
৭৫ বছর বয়সে তৃতীয় বার বিয়ে করেন পেলে। মার্সিয়া চিবেলে আওকি(Marcia Aoki), পেলের জাপানি স্ত্ৰী। তিনি সফল ব্যবসায়ীও। পেলে (Pele) এবং আওকির(Aoki) কোনও সন্তান নেই।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিংবদন্তি পেলে, ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
৩ স্ত্ৰী ছাড়াও আরও দুই নারীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন কিংবদন্তি। তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন আরও ২ সন্তান হয় পেলের। এক গৃহপরিচারিকার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে পেলের যে সন্তানের জন্ম হয়, তিনি সান্দ্ৰা মাচাদো। তিনি নিজের সন্তানকে পেলের পিতৃপরিচয় পাওয়ার জন্য আইনি পথে হেঁটেছিলেন। সান্দ্ৰা মাচাদো যে পেলেরই সন্তান তার প্ৰমাণের জন্য ডিএনএ টেস্টও করা হয়েছিল। অবশেষে তা প্ৰমাণিতও হয় তিনি পেলেরই সন্তান। তবে ২০০৬ সালে অব্শ্য সান্দ্ৰা ক্যানসারে মারা যান। পেলের আরেক সন্তানের নাম ফ্লাভিয়া কার্টজ। ১৯৬৮ সালে সাংবাদিক লেনিটা কার্টজের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন পেলে। তাঁদেরই সন্তান ফ্লাভিয়া। তবে কিংবদন্তির প্ৰত্যেক সন্তানের মধ্যে বেশ ভালোই মিলাপ্ৰীতি রয়েছে।